
জাওয়াদের ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরি, মুশফিক-শান্তর রাজশাহীর বিদায়
সিলেট আন্তর্জতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আউটার মাঠে জাওয়াদ আবরারের ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরির সৌজন্যে সাত উইকেটে জিতেছে ঢাকা বিভাগ। ঢাকা টুর্নামেন্টে টিকে থাকলেও এই ম্যাচ হারায় বাদ পড়ল রাজশাহী।
সিলেট আন্তর্জতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আউটার মাঠে জাওয়াদ আবরারের ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরির সৌজন্যে সাত উইকেটে জিতেছে ঢাকা বিভাগ। ঢাকা টুর্নামেন্টে টিকে থাকলেও এই ম্যাচ হারায় বাদ পড়ল রাজশাহী।
এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে টানা জয়ের ভেলায় ভাসছিল রংপুর এবং ঢাকা মেট্রো। দুই দলই নিজেদের বিপক্ষে মুখোমুখি হওয়ার আগে টানা পাঁচটি করে ম্যাচ জিতে। মুখোমুখি লড়াইয়ে অবশ্য ঢাকা মেট্রোর সাথে পারল না রংপুর। আকবর আলীর দল হারে সাত উইকেটে। অপরদিকে ষষ্ঠ ম্যাচে নিজেদের ষষ্ঠ জয় পেল মেট্রো।
জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টির ষষ্ঠ রাউন্ডের ম্যাচে চট্টগ্রামকে পাঁচ উইকেটে হারিয়েছে খুলনা। খুলনার ফিনিশার জিয়াউর রহমানের ক্যামিও ইনিংসের কাছে এ দিন হার মেনেছে চট্টগ্রামের অধিনায়ক ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বির আগ্রাসী হাফ সেঞ্চুরিও।
জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টির ম্যাচে বরিশালকে দুই উইকেটে হারিয়েছে সিলেট। ১০৯ রানের লক্ষ্যে সাত বল আগেই জয়ের দেখা পেয়েছে মাহফুজুর রাব্বির নেতৃত্বাধীন দলটি। এবারের আসরে ছয় ম্যাচে এ নিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচ জিতল সিলেট। সমান সংখ্যক ম্যাচে বরিশালও জিতল দুই ম্যাচে। শেষ রাউন্ডের ফলের ওপর নির্ভর করছে তাদের প্লে-অফের ওঠার বিষয়টি।
লক্ষ্য ১৫৭ রান! তবে ৭৮ রান তুলতেই ৭ উইকেট নেই সিলেট বিভাগের। ছন্দে থাকা জিসান আলম, তৌফিক খান তুষাররা ফিরেছেন দ্রুতই। এমন জায়গা থেকে সিলেটের জয়ের আশা করাটা হয়ত বোকামিই ছিল। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে স্বাগতিকদের জয়ের স্বপ্ন দেখিয়ে গেছেন অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি। ৬ বলে ২৪ রানের কঠিন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে একাই লড়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
১১ বল ২২ রান! ম্যাচ জিততে হলে এমন সমীকরণ মেলাতে হতো মুশফিকুর রহিম ও তাওহীদ হৃদয়কে। তবে সেই সমীকরণ মিলিয়ে রাজশাহী বিভাগকে জেতাতে পারেননি তারা দুজন। ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে আহমেদ শরীফের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে লং অন দিয়ে ছক্কা মারতে চেয়েছিলেন মুশফিক। তবে টাইমিংয়ে গড়বড় হওয়ায় মুমিনুল হকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয়েছে ৪৬ রান করা এই ব্যাটারকে। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৩ রান প্রয়োজন ছিল রাজশাহীর।
সবশেষ কয়েক বছরে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত রান করা ব্যাটারদের তালিকায় সবার উপরেই হয়ত থাকবেন এনামুল হক বিজয়। প্রতি বছরই ব্যাট হাতে রানের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন তিনি। ঘরোয়াতে ভালো খেলে বাংলাদেশ টাইগার্সের ক্যাম্প কিংবা বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়েও খেলার সুযোগ মিলেছে তাঁর। শুধু তাই নয় বেশ কয়েকবার জাতীয় দলেও খেলার সুযোগ হয়েছে ডানহাতি এই ব্যাটার।
এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে ঢাকাকে ২১ রানে হারিয়েছে খুলনা। এনামুল হক বিজয়ের অপরাজিত সেঞ্চুরির ইনিংসে এ দিন ঢাকাকে হারায় খুলনা। আসরে এ নিয়ে টানা চার ম্যাচ হারল ঢাকা। পয়েন্ট টেবিলে একদম তলানিতে এই দলটি। অপরদিকে দুই হারের পর জয়ে ফিরল নুরুল হাসান সোহানের দল। পয়েন্ট টেবিলে পাঁচ নম্বরে আছে খুলনা।
আলাউদ্দিন বাবুর অসাধারণ বোলিংয়ে জাতীয় ক্রিকেট লিগে বরিশালকে সাত উইকেটে হারিয়েছে রংপুর। রংপুরের হয়ে এ দিন ৯ রান খরচায় একটি মেইডেন দিয়ে চারটি উইকেট নিয়েছেন আলাউদ্দিন। এরপর চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাফ সেঞ্চুরিতে কাঙ্ক্ষিত জয় পায় রংপুর। এ নিয়ে টানা পাঁচ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানে আরও শক্ত করে বসলো আকবর আলীর দল।
জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টির প্রথম দিনেই ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছিলেন জিসান আলম। ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে খেলেছিলেন ৫৩ বলে ১০০ রানের অনবদ্য ইনিংস। চারটি চারের সঙ্গে ১০ ছক্কায় ঢাকা বিভাগের বোলারদের তুলোধুনো করেছিলেন তরুণ এই ওপেনার। সেঞ্চুরি করে টুর্নামেন্ট শুরু করা জিসান খুলনার বিপক্ষে ৬ ছক্কায় ৪৮ বলে করেছেন ৭৩ রান। জিসানের এমন ব্যাটিংয়ে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে সিলেট।
৬ বলে ২৫ রান! চট্টগ্রাম বিভাগকে হারিয়ে ম্যাচ জিততে হলে শেষ ওভারে এমন কঠিন সমীকরণ মেলাতে হতো বরিশাল বিভাগকে। ইরফান হোসেনের বিপক্ষে কাজটা একেবারেই সহজ ছিল না সালমান হোসেন ইমন ও মইনুল ইসলামের জন্য। ডানহাতি পেসারের ফুলার লেংথের প্রথম ডেলিভারি থেকে রানই বের করতে পারলেন না সালমান। অফ স্টাম্পের বাইরের পেয়ে বলে ডিপ পয়েন্ট নিয়ে সীমানা ছাড়া করেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। পরের বলে ছক্কা মেরেছেন ডিপ মিড উইকেটের উপর দিয়ে। চতুর্থ বলে এক্সট্রা কভারের উপর দিয়ে চার মারলে শেষ ২ বলে বরিশালের প্রয়োজন হয় ৯ রান।
এনসিএল টি-টোয়েন্টি জয়রথ চলছেই রংপুরের। তারা নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে রাজশাহীকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে। এই ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৮৯ রান করে রাজশাহী। সেই লক্ষ্য ২ ওভার হাতে রেখেই পেরিয়ে গেছে রংপুর।