ধৈর্যশীল ইনিংসে খুলনার জয়ের নায়ক জিয়াউর রহমান
ছবি: খুলনাকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়ছেন জিয়াউর রহমান ও নুরুল হাসান সোহান, ক্রিকফ্রেঞ্জি
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৩০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় এনামুল হকের সঙ্গে এ দিন ওপেনিংয়ে নামেন আজিজুল হাকিম তামিম। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক তিনটি করে চার এবং ছক্কায় ২৫ বলে ৩৬ রান করে মুমিনুল হকের বলে বোল্ড হয়ে বিদায় নেন।
আরেক প্রান্ত থেকে অবশ্য ৩৫ রানের মধ্যে দুই উইকেট পড়ে। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরিয়ান এনামুল হক বিজয় এ দিন চার রান করে ইরফান হোসেনের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেছেন। মোহাম্মদ মিঠুন ফিরে যান ১৪ রানে।
দশ ওভারের মধ্যে ৭৭ রান তুলতে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলে খুলনা। শেষ ১০ ওভারে যখন ৫৩ রান দরকার, তখনই দায়িত্ব নিয়ে দলকে জেতান সোহান ও জিয়াউর। ২৩ বলে ২০ রান করেন সোহান।
পাঁচটি চার এবং দুটি ছক্কায় ৩৬ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরার পুরষ্কার নেন জিয়াউর। লো স্কোরিং ম্যাচে সাত বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে খুলনা। এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে চট্টগ্রাম।
শেখ পারভেজ জীবন এবং জায়েদ উল্লাহর দারুণ বোলিংয়ের সামনে সেভাবে সুবিধা করতে পারেনি দলটি। দলের রান পঞ্চাশ ছুঁতেই ১১ ওভার খেলে ফেলে দলটি, হারায় চার উইকেট। এসময়ে একপ্রান্ত ধরে রেখে ৩১ বলে ৩০ রান করেন মাহমুদুল হাসান জয়।
চার উইকেট পড়ার পর পঞ্চম উইকেটে ৪৭ রানের জুটি গড়েন শামিম মিয়া ও ইয়াসির আলী রাবি। শামিম ২১ বলে ১৫ রানে আউট হলেও শেষ তিন ওভারে ঝড় তোলেন ইয়াসির। ৩০ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ছয়টি চার ও তিনটি ছক্কায় ৩৯ বলে ৬১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
ষষ্ঠ ম্যাচে এ নিয়ে তৃতীয় জয় পেল খুলনা। চট্টগ্রামের জয়ও অবশ্য তিনটি। যদিও চট্টগ্রাম এই ম্যাচটি হেরে প্রথম কোয়ালিফায়ারের টিকেট অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গেছে রংপুর ও ঢাকা মেট্রোর। এরই মধ্যে দল দুটি দশ পয়েন্ট পেয়ে গেছে। অবশিষ্ট কোনো দল ৮ পয়েন্টের বেশি পাবে না।