হৃদয় ৬৯, মুশফিক ৪৬, তবুও হারল রাজশাহী
ছবি: তাওহীদ হৃদয় ৬৯ রান (বামে), মুশফিকুর রহিম ৪৬ রান (ডানে), ক্রিকফ্রেঞ্জি
নাঈম হাসানের প্রথম বলেই স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা হৃদয় ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয়ের হাতে। ৬৯ রান করা হৃদয়ের বিদায়ে আরও বিপদে পড়ে রাজশাহী। প্রীতম কুমার, ফরহাদ রেজা, নিহাদ উজ জামানরা ৫ বলে ১৩ রানের সমীকরণ মেলানোর চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত পারেননি। শেষ ওভারের রোমাঞ্চে রাজশাহীকে ৪ রানে হারিয়ে জয় তুলে নিয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ। ৫ ম্যাচে ৩ জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিনে ইয়াসির রাব্বিরা।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ১৯৯ রান তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি রাজশাহীর। ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। পেসার ইরফান হোসেনের অফ স্টাম্পের বাইরের ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারিতে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম ম্যাচেই হাফ সেঞ্চুরি করা শান্ত ফিরেছেন ৪ রানে।
তিনে নেমে খুব বেশি সুবিধা করতে পারেননি সাব্বির হোসেন। তবে অন্য প্রান্তে দাঁড়িয়ে চার-ছক্কায় রান তুলেছেন ওপেনার হাবিবুর রহমান সোহান। তাদের দুজনের জুটি ভেঙেছেন আহমেদ শরীফ। ডানহাতি পেসারের শর্ট ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে থাকা শাহাদাত হোসেন দিপুর হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ১৩ রান করা সাব্বির। এরপর ওপেনার হাবিবুরকে সঙ্গে নিয়ে রাজশাহীকে নিয়ে যেতে থাকেন হৃদয়।
যদিও তাদের দুজনের জুটির পঞ্চাশ হওয়ার আগেই শরীফের বলে আউট হয়েছেন ২০ বলে ৩৯ রান করা হাবিবুর। তরুণ এই ওপেনার ফেরার পর রাজশাহীর হাল ধরেন হৃদয় ও মুশফিক। চোট কাটিয়ে নিজের ফেরার ম্যাচে দারুণ ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন হৃদয়। অফ স্পিনার নাঈমের বলে ফেরার আগে করেছেন ৬৯ রান। অভিজ্ঞ মুশফিকের ব্যাট থেকে এসেছে ৪৬ রান। তাদের দুজনের এমন ব্যাটিংয়ের পরও ১৯৪ রানে থামতে হয়েছে রাজশাহীকে।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৯৮ রানের পুঁজি পায় চট্টগ্রাম। তামিম ইকবাল না থাকায় জয়ের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নেমে ৩৬ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলেছেন মুমিনুল। এ ছাড়া ইরফান শুক্কুর ২৯ বলে ৫৪ এবং দিপু খেলেছেন ১৫ বরে ৩৫ রানের ইনিংস। তাদের এমন ব্যাটিংয়েই দুইশ ছুঁইছুঁই পুঁজি পায় চট্টগ্রাম। রাজশাহী বিভাগের হয়ে ৪ ওভারে ২১ রান নিয়ে ৩ উইকেট পেয়েছেন সাব্বির। একটি করে উইকেট নিয়েছেন শফিউল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ও নাজমুল শান্ত।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
চট্টগ্রাম বিভাগ- ১৯৮/৭ (২০ ওভার) (ইরফান ৫৪, মুমিনুল ৫২, দিপু ৩৫; সাব্বির ৩/২১)
রাজশাহী বিভাগ- ১৯৪/৭ (২০ ওভার) (হৃদয় ৬৯, মুশফিক ৪৬, হাবিবুর ৩৯; শরীফ ৩/৩৮, নাঈম ২/২৫)