রংপুরের জয়রথ থামিয়ে মেট্রোর ছয়ে ছয়
ছবি: টানা ৫ জয়ের পর হেরে হতাশ আকবর আলী (মাঝে) , ক্রিকফ্রেঞ্জি
টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে এ দিন শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে রংপুর। আগের ম্যাচগুলোতে তাদের ব্যাটিংয়ের সঙ্গে এ দিন যেন তেমন মিলই ছিল না। স্কোরবোর্ডে ৩৮ রান তুলতে ছয় উইকেট হারায় তারা।
মূলত আলিস আল ইসলাম এবং আবু হায়দার রনির দারুণ বোলিংয়ের সামনে নতজানু হয় দলটি। চতুর্থ ওভারে বোলিংয়ে এসে তানবির হায়দার এবং মিম মোসাদ্দেকের উইকেট নেন তিনি। ১০ বলে দুই রান করা তানবির মাঠ ছাড়েন স্টাম্পিং হয়ে, ছয় বলে এক রান করা মোসাদ্দেক হন বোল্ড।
এর আগে তিন রান করা খালিদকে ফেরান রাকিবুল হাসান। ষষ্ঠ ওভারের মধ্যে আকবরকেও ফেরান আলিস। রংপুরের অধিনায়ক এ দিন এক রানের বেশি করতে পারেননি। এরপর আবু হায়দার রনি বোলিংয়ে এসে ফেরান নাঈম ইসলাম (৭) এবং আরিফুল হককে (১৭)।
সপ্তম উইকেটে আলাউদ্দিন বাবু ও এনামুল হকের ৬৪ রানের জুটিতে ১০০ রান পার করে রংপুর। রংপুরের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন আলাউদ্দিন বাবু। আর এনামুল অপরাজিত থাকেন ৩৪ রানে।
ইনিংসের তিন বল থাকি থাকতে ১২৫ রানে অলআউট হয় রংপুর। ঢাকা মেট্রোর হয়ে তিনটি করে উইকেট শিকার করেন আলিস আল ইসলাম এবং আবু হায়দার রনি।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আলাউদ্দিন বাবুর নৈপুণ্যে ৩৮ রানের মধ্যে দুই উইকেট হারায় মেট্রো। ইমরানউজ্জামান ১৫ বলে ২৫ রান করে বোল্ড হন, ইনফর্ম ওপেনার নাইম শেখ করেন ১৩ বলে ৭ রান। এরপর অবশ্য সাদমান ইসলামের ৩৭ বলে ৫৪ এবং আনিসুল ইসলামের ৩০ বলে ২৯ রানের ইনিংসে ম্যাচ জিতে মেট্রো।
মাত্র ১৫.৩ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে লক্ষ্য তাড়া করে টেবিলের শীর্ষে ওঠে মেট্রো। টানা ৬ ম্যাচ জিতে ১২ পয়েন্ট তাদের। টানা পাঁচ ম্যাচ জেতা রংপুরও ঢাকা মেট্রোর সঙ্গে নিশ্চিত করেছে প্লে অফ খেলা।