বিজয়ের সেঞ্চুরিতে জিতল খুলনা, হেরেই চলেছে ঢাকা
ছবি: ঢাকার বিপক্ষে এনামুল হক বিজয়ের সেঞ্চুরি, ক্রিকফ্রেঞ্জি
পেসার ইকবাল হাসান ইমনের শর্ট বাউন্স বল, আর সেই বলে পুলশট খেলে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগের উপর দিয়ে বিজয় পার করেন মাঠের সীমানা। জিসান আলমের পর চলতি টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটি এই ওপেনার তুলে নেন এভাবেই। সেঞ্চুরিটি আসে মাত্র ৬৬ বলে।
এ দিন ইমরুল কায়েস ১৪, আজিজুল হক তামিম ১৮, মোহাম্মদ মিঠুন শূন্য রানে আউট হয়ে গেলেও, উইকেটের আরেক প্রান্ত আগলে রাখেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। ইনিংসের শেষ দিকে এসে নুরুল হাসান সোহানের সঙ্গে গড়ে তুলেন ৮৯ রানের দারুণ এক জুটি।
৬৬ বলে সেঞ্চুরি করার আগে ৩৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন বিজয়। শুরুর দিকে কিছুটা মেজাজ ধরে রেখেই চালান ব্যাট। কিন্তু পরের ৫০ রান করতে খেলেন মাত্র ২৮ বল। তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে খুলনা সংগ্রহ করে তিন উইকেট হারিয়ে ১৮০ রান। শেষ পর্যন্ত ৬৭ বলে ১০১ রান করে বিজয় থাকেন অপরাজিত।
দারুণ এই সেঞ্চুরির ইনিংসে বিজয় ছক্কা হাঁকান পাঁচটি। চার হাঁকান দশটি। খুলনার বড় সংগ্রহের পেছনে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানও রাখেন গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা। খেলেন দুটি ছক্কা এবং একটি চারে ২৩ বলে ৩৪ রানের ইনিংস।
ঢাকার হয়ে ৩৪ রান খরচায় দুই উইকেট নেন নাজমুল ইসলাম অপু। ইমরুল ও তামিম দুজনকেই লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন তিনি। রান আউট হন মিঠুন।
সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরু থেকেই বিপর্যয়ে পড়ে ঢাকা। ৩২ রানের মধ্যে তিনটি উইকেট হারায় তারা। জাওয়াদ আবরার ১১ রান করে আল আমিন হোসেনের বলে এলবিডব্লিউ হন।
আরেক ওপেনার রনি তালুকদার ৭ রান করে জায়েদ উল্লাহর বলে এলবিডব্লিউ হন। তিনে নামা অধিনায়ক সাইফ হাসান আউট হন ১৩ বলে ১০ করে। জায়েদের বলে তাকে স্টাম্পিং করেন সোহান। ২২ বলে ১৯ রান করা আরিফুল ইসলামের উইকেটও নেন জায়েদ।
দ্রুত টপ অর্ডার হারিয়ে বসা ঢাকা অবশ্য এরপর আর ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। শেষদিকে তাইবুর রহমান ও মাহিদুল ইসলাম অংকন ঝড়ো ব্যাটিংয়ে কেবল হারের ব্যবধানটাই কমিয়েছেন। হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে তাইবুর অপরাজিত থাকেন ৪১ বলে তিনটি চার ও পাঁচটি ছক্কায় ৬৩ রানে।
২৩ বল খেলা মাহিদুল অংকনের ব্যাট থেকে আসে দুটি চার ও চারটি ছক্কায় ৪৩ রানের ক্যামিও। শেষ পর্যন্ত চার উইকেটে ১৫৯ রানে থামে ঢাকার ইনিংস। ২১ রানের জয় পায় খুলনা।