জাতীয় লিগের খেলায় টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে সাত উইকেটে ১২৮ রান তোলে বরিশাল। পঞ্চম ওভারে ফিরে যান দলটির ওপেনার রাফসান আল মাহমুদ। মিড অনে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেয়ার আগে ১৪ বলে আট রান করেন তিনি।
দশম ওভারের মধ্যে ফিরে যান ইফতিখার হোসেন ইফতিও। ২৬ বলে ৩৩ রান করা এই ওপেনার উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। তাকে বিদায় করেন রানা। এর একটু পর বিদায় নেন সালমান হোসেন ইমনও।
১২ বলে ছয় রান করা এই ব্যাটার হাসান মুরাদের বলে বোল্ড হন। ফজলে মাহমুদ রাব্বিও বেশীক্ষণ টিকতে পারেননি। ওয়াইড লং অনে ক্যাচ দেয়ার আগে ২৯ বলে ২৬ রান আসে তার ব্যাটে। ৪১ রানের ওপেনিং জুটির পর ৯৭ রানের মধ্যে মোট চার উইকেট হারায় দলটি।
ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে আর কেউই দৃষ্টিনন্দন পারফরম্যান্স উপহার দিতে পারেননি। শেষদিকে ১৪ বলে ১৮ রানে অপরাজিত ছিলেন সোহাগ গাজী। চট্টগ্রামের হয়ে ২২ রান খরচায় তিনটি উইকেট নেন রানা। দুটি উইকেট নেন মুরাদ।
স্বল্প রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে ৪৩ রান তোলে চট্টগ্রাম। ৩.৩ ওভারের মধ্যেই ঝড়ো শুরু করে ফিরে যান ওপেনিংয়ে নামা মুমিনুল হক। ১১ বলে ২২ রান করা এই ব্যাটারকে বোল্ড করে ফেরান গাজী।
তারপর দলীয় ৬৬ রানের মধ্যে শাহাদাত হোসেন দিপুও ফিরে যান। ১২ বলে ১০ রান করা দিপুকে বোল্ড করেন তানভির ইসলাম। তারপর আর কোনো উইকেট হারায়নি চট্টগ্রাম।
জয় ছয়টি চার এবং পাঁচটি ছক্কায় ৪৮ বলে অপরাজিত ৭৮ রান করে দলের জয় নিশ্চিত করেন। ২৮ বলে ২৩ রান তুলে অপরাজিত থাকেন সৈকত আলী। ১৬.৩ ওভারেই ম্যাচ জিতে চট্টগ্রাম।