জাওয়াদের ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরি, মুশফিক-শান্তর রাজশাহীর বিদায়
ছবি: জাওয়াদ আবরার, ক্রিকফ্রেঞ্জি
ষষ্ঠ রাউন্ডে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার জিতল ঢাকা। শেষ ম্যাচে বেশ কিছু সমীকরণ যদি পক্ষে আসে তাহলে প্লে-অফের টিকেট মিলতে পারে তাদের। এদিকে সমান ম্যাচে মাত্র দুই পয়েন্ট অর্থাৎ এক ম্যাচ জেতা রাজশাহী সবার আগে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেল।
১৪২ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই ৯৬ রান তোলে ঢাকার দুই ওপেনার জাওয়াদ ও রনি তালুকদার। প্রথম দিকে কিছুটা রয়েসয়ে খেলেন এই দুজন। এমনকি শুরুর তিন ওভারে কোনো বাউন্ডারিও মারেননি এই দুই ওপেনার।
এরপর অবশ্য চার-ছক্কায় মাতিয়ে রাখেন এই দুই ওপেনার। তাদের জুটি ভাঙেন ওয়াসি সিদ্দিকি। দশম ওভারের প্রথম বলে বোল্ড হওয়ার আগে ২৩ বলে চারটি চার ও একটি ছক্কায় ৩৩ রান করেন রনি।
আগ্রাসী ভঙ্গিমায় খেলতে খেলতে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন জাওয়াদ। বাংলাদেশের হয়ে যুব এশিয়া কাপ জিতে আসা এই ওপেনারকেও থামান ওয়াসি। ফুল লেংথের দারুণ এক ডেলিভারিতে স্লগ করার চেষ্টায় পুরোপুরি পরাস্ত হয়ে বিদায় নেন জাওয়াদ। ফেরার আগে করেন ৩৯ বলে ছয়টি চার ও চারটি ছক্কায় ৬২ রান।
মূলত জাওয়াদের এমন ব্যাটিংয়ে ১৪১ রানের লক্ষ্য ২৯ বল বাকি থাকতে টপকে যায় ঢাকা। বাকি কাজটি সারেন আরিফুল ইসলাম। ২৫ বলে ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন অপরাজিত থাকেন দুই বলে সাত রান করে। মাঝে সাইফ হাসান এক রানে ফিরে যান।
এর আগে ঢাকার হয়ে বল হাতে অসাধারণ পারফরম্যান্স করেন ইকবাল হোসেন ইমন, নাজমুল ইসলাম অপুরা। ইমন নেন তিন উইকেট, দুটি করে উইকেট নেন অপু এবং সুমন খান। একটি করে উইকেট যায় তাইবুর রহমান ও মেহেদী হাসান সোহাগের ঝুলিতে।
ইনিংসের প্রথম ওভারেই ইমনের বলে এক রানে বোল্ড হন নাজমুল হোসেন শান্ত। এ নিয়ে টানা তিন ম্যাচে দুই অঙ্ক ছুঁতে ব্যর্থ হলেন তিনি। আগের সবগুলো ম্যাচে ত্রিশের বেশি রান করা হাবিবুর রহমান এবার থামেন ১৯ রানে।
তাকে ফেরান অপু। তৃতীয় উইকেটে ৪৬ রানের জুটি গড়েন সাব্বির হোসেন এবং তাওহিদ হৃদয়। ১৯ বলে ৩২ রান আসে সাব্বিরের ব্যাটে। এ ছাড়া দলের সর্বোচ্চ ২৬ বলে ৩৭ রান আসে হৃদয়ের ব্যাট থেকে।
মুশফিকুর রহিম ১৪ বলে ১৩ রান করে রান আউট হন। নিহাদউজ্জামানও ১৩ রান করে বিদায় নেন। আর কেউ উল্লেখ করার মতো সংগ্রহ করতে পারেননি। ১৯.১ ওভারে অলআউট হয় রাজশাহী।