দুই উইকেটে ১৭৩ রান নিয়ে শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চতুর্থ দিনের শুরুটা রীতিমতো নিজেদের করে নেয় ক্যাম্পবেল এবং হোপ। সেঞ্চুরি তুলে নেন ক্যাম্পবেল। টেস্ট ক্যারিয়ারে এটিই তার প্রথম সেঞ্চুরি। এই দুজনের জুটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তোলে ১৭৭ রান।
এই জুটি ভাঙেন রবীন্দ্র জাদেজা। ক্যাম্পবেলকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন তিনি। ফেরার আগে ১৯৯ বলে ১২টি চার ও তিনটি ছক্কায় ১১৫ রান করেন ক্যাম্পবেল। তারপর হোপের জুটি গড়তে থাকেন রস্টন চেজ।
অধিনায়ককে পাশে পেয়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন হোপও। ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে অবশ্য আউট হয়ে যান হোপ। মোহাম্মদ সিরাজের লেংথ ডেলিভারিতে মিডল স্টাম্প হারান তিনি। ২১৪ বলে ১২টি চার এবং দুটি ছক্কায় ১০৩ রান আসে হোপের ব্যাটে।
তার বিদায়ে চেজের সঙ্গে ৫৯ রানের জুটিটি ভাঙে। তারপরই ছন্দপতন হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের। তিনশ রান তোলার আগে আরো তিনটি উইকেট হারায় দলটি। ১৩ বলে ১২ রান করা টেভিন ইমলাচকে এলবিডব্লিউ করে ফেরান কুলদীপ যাদব।
চেজও কুলদীপের লো বাউন্সের ফাঁদে পড়েন। পেছনে পায়ে ভর দিয়ে স্কয়ারে ফ্লিক করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন। তার ব্যাটে আসে ৭২ বলে চারটি চার ও একটি ছক্কায় ৪০ রান। এর এক বল পর খারি পিয়েরেকেও বিদায় করেন কুলদীপ।
স্লগ সুইপ করতে গিয়ে কাভারে ক্যাচ তুলে দেন পিয়েরে। রানের খাতাই খুলতে পারেননি তিনি। ২৯৮ রানের মধ্যে সাত উইকেট হারায় ক্যারিবিয়ানরা। দলটির লেজের সারির ব্যাটারদের ফেরান জসপ্রিত বুমরাহ।
একপাশ আগলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান বাড়ান জাস্টিন গ্রেভস। ৮৫ বলে তিনটি চারে ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। জোমেল ওয়ারিক্যান তিন রানে বোল্ড হন। অ্যান্ডারসন ফিলিপ দুই রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন।
তবে গ্রেভসকে যোগ্য সঙ্গ দেন সিলস। ৬৭ বলে ৩২ রান করেন এই পেসার। ৩১১ রানে ৯ উইকেট হারানোর পর শেষ উইকেটে ৭৯ রানের জুটি পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ইয়াশভি জয়সাওয়ালের উইকেট হারায় ভারত।
ওয়ারিক্যানের বলে লং অনে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ফিলিপকে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন জয়সাওয়াল। প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান এই ইনিংসে করেন সাত বলে দুই চারে আট রান। তারপর আর বিপদ ঘটতে দেননি লোকেশ রাহুল এবং সাই সুদর্শন। ৫৪ বলে ২৫ রানে রাহুল এবং ৪৭ বলে ৩০ রানে অপরাজিত আছেন সুদর্শন।