২১ বছর পর নিউজিল্যান্ডের চাকরি ছাড়লেন বব কার্টার

ছবি: নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট

ইষ্ট ইংল্যান্ডের নরফকে জন্ম ও বেড়ে ওঠা কার্টারের। কখনো জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়ানোর সুযোগ না হলেও নটিংহ্যাম্পটনশায়ার ও ক্যান্টাবুরির হয়ে ৬০ প্রথম শ্রেণির ও ৫৫টি লিষ্ট ‘এ’ ক্রিকেটের ম্যাচ খেলেছেন। ২০০৪ সালে জন ব্রেসওয়েলের সহকারী কোচ হিসেবে নিউজিল্যান্ড জাতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি।
ফকসের ‘৯ উইকেটে’ নিউজিল্যান্ডের ৩৫৯ রানের জয়
৯ আগস্ট ২৫
ব্রেসওয়েলের সহকারী হিসেবে পাঁচ বছর চাকরি করার পর কার্টারের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করে নিউজিল্যান্ড। ২০১২ থেকে ২১০৪ সাল পর্যন্ত মাইক হেসনের সহকারী ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে হেইডি টিফেনের জায়গায় নিউজিল্যান্ড নারী দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব নেন কার্টার। ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০২২ সালে ঘরের মাঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপে অ্যামেলিয়া কার, সোফিয়া ডিভাইন, সুজি বেটসদের কোচ হিসেবে কাজ করেন।

দুই বিশ্বকাপের একটিতেও শিরোপা জিততে না পারায় পদত্যাগ করেন কার্টার। জাতীয় দলের কাজ শেষে হাই পারফরম্যান্স কোচ হিসেবে চাকরি শুরু করেন তিনি। তবে ২১ বছর পর নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটারের চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দলগত কাজ ও সবার সহযোগিতার কারণেই এমন সাফল্য পাওয়া সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে কার্টার বলেন, ‘আমার অনুভব হচ্ছে মনে হয় আমি স্বপ্নের মতো বসবাস করেছি। সবাইকে সাপোর্ট করা, অবদান রাখতে পারার বিষয়টি আমি খুবই উপভোগ করেছি এবং সেটা যদি খেলোয়াড় কিংবা দলের এগিয়ে যেতে অথবা সাফল্য পেতে সহায়তা করে থাকে তাহলে দারুণ ব্যাপার, আমি আনন্দিত। কিন্তু আমার মনে হয় কম্বিনেশন, দলগত কাজ ও সবার সহযোগিতা নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের জন্য কাজে দিয়েছে।’
নিউজিল্যান্ডের চাকরি ছেড়ে এখন এককভাবে কাজ করার চেষ্টা করবেন কার্টার। তিনি থাকাকালীন নিউজিল্যান্ড বেশ কিছু সাফল্য পেয়েছে। যেখানে গত বছর প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে নারী দল, ছেলেদের ক্রিকেটে ভারতকে তাদেরই মাটিতে হোয়াইওয়াশ করেছে কিউইরা। এমন সাফল্য বেজায় খুশি ৬৫ বছর বয়সি এই কোচ।