বিসিসিআইয়ের আয় ১০ হাজার কোটি, আইপিএল থেকেই ৫ হাজার কোটির বেশি

ছবি: বিসিসিআই

এমন তথ্যই জানিয়েছে দেশটির সর্ববৃহৎ স্বাধীন সংস্থা রেডিফিউশন। তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিসিসিআইয়ের আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। সেখান থেকেই তারা ৫ হাজার ৭৬১ কোটি রুপি আয় করেছে। যা তাদের বার্ষিক মোট রাজস্বের ৫৯ দশমিক ১০ শতাংশ।
বুমরাহর এশিয়া কাপে খেলা নিয়ে শঙ্কা
২ আগস্ট ২৫
আইপিএলের গুরুত্ব বর্ণনা করে ব্যবসায়িক কৌশলবিদ লয়েড ম্যাথিয়াস বলেছেন, ‘২০০৭ সালে বিসিসিআই একটি সোনার ডিম পাড়া রাজহাঁস আবিষ্কার করে—আইপিএল, যার পুরোটাই তাদের অংশ। আমার মতে, এটা সেরা (ক্রিকেট) টুর্নামেন্ট এবং এর সম্প্রচার স্বত্ব ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আইপিএল রঞ্জি ট্রফির স্তরের (প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট) খেলোয়াড়দের সুযোগ নিশ্চিত করে। পরিসর বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এটা আরও লাভজনক হয়ে উঠছে।’

শুধু পুরুষদের নয়, নারীদের ক্রিকেট লিগ থেকেও বিসিসিআই আয় করেছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ। উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগের সম্প্রচার স্বত্ব ও স্পনসরশিপ চুক্তি থেকে আয় হয়েছে ৩৬১ কোটি রুপি। আন্তর্জাতিক সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি এবং কর্পোরেট পৃষ্ঠপোষকদের আগ্রহের কারণে নারী ক্রিকেটেও আর্থিক দিক থেকে লাভবান হচ্ছে ভারতীয় বোর্ড।
‘তোমরাই তো চেয়েছিলে টেস্ট ক্রিকেট চার দিনে নামিয়ে আনতে’
৫ আগস্ট ২৫
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের আয়ে একটি অন্যতম অংশ এসেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) থেকে। ক্রিকেটের এই সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে ভারতের আয় ১ হাজার ৪২ কোটি রুপি, যা মোট রাজস্বের ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ। এ ছাড়া বিসিসিআইয়ের রিজার্ভে আছে ৩০ হাজার কোটি রুপি।
প্রতি বছর তারা সেখান থেকে হাজার কোটি রুপির সুদ পায়। আইপিএলের স্বত্ব এখন রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত সম্প্রচার সংস্থা ডিজনি ও ভায়াকমের কাছে। তারা ২০২৩ থেকে ২০২৭ পর্যন্ত আইপিএলের পরিবেশক হিসেবে থাকবে। সম্প্রচার স্বত্ব বাবদ এই প্রতিষ্ঠানটি বিসিসিআইকে দেবে ৬২০ কোটি ডলার (৫৩ হাজার ৩১২ কোটি ৮৭ লাখ রুপি)।