বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভালো-মন্দের বিষয়গুলো দেখভাল করে ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটি। কখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না খেলায় আধুনিক ক্রিকেটের সঙ্গে চাহিদা মেলাতে পারছেন না নাজমুল আবেদিন ফাহিম! এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতেই আমিনুল ইসলাম বুলবুল, রাজ্জাক, ফারুক আহমেদ ও খালেদ মাসুদ পাইলটকে নিয়ে ছায়া কমিটি গঠনের কথা ভাবছে বিসিবি।
গণমাধ্যমে এমন গুঞ্জন থাকলেও এখনো এমন কোনো কমিটি গঠন করেনি বোর্ড। ছায়া কমিটি গঠন না করলেও আয়ারল্যান্ড সিরিজে নতুন করে টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি। ধারণা করা হচ্ছে, সেই ছায়া কমিটির অংশ হিসেবেই জাতীয় দলের সঙ্গে রাখা হচ্ছে রাজ্জাককে। টিম ডিরেক্টরের পদটি সেই কমিটির সঙ্গে সম্পর্কিত কিনা এমনটা জানতে চাওয়া হয়েছিল তাঁর কাছে। রাজ্জাক অবশ্য এটাকে স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হিসেবেই দেখছেন।
রাজ্জাক বলেন, ‘আমি জানি না এটা ওইটার সাথে সম্পর্কিত কিনা। দেখুন, যেহেতু ক্রিকেট খেলোয়াড় যুক্ত আছে এখানে সেক্ষেত্রে ক্রিকেটীয় কোনো ব্যাপার হলে খুব স্বাভাবিকভাবে তাদের যেকোনো একজনের নাম আসবে। হয়ত এখন আমার নাম আসছে, এরপর পাইলট ভাইয়ের আসবে। এটাই হওয়ার কথা আরকি।’
নাজমুল হাসান পাপনের বোর্ডের সময় বাংলাদেশ জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টরের দায়িত্বে ছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজন। দ্বিপাক্ষিক সিরিজের পাশাপাশি বিশ্বকাপেও একই ভূমিকায় ছিলেন তিনি। বেশ কয়েকবার তাঁর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এ ছাড়া কোচের সঙ্গে দুরত্বের বিষয়টিও স্পষ্ট ছিল। টিম ডিরেক্টর হিসেবে রাজ্জাকের ভূমিকা কেমন হবে সেটা নিশ্চিত করেছেন তিনি নিজেই।
তিনি বলেন, ‘আসলে আমি চেষ্টা করব এভাবে থাকার জন্য যে আমি ইনপুট দিবই এরকম না। যদি ওরা প্রয়োজন মনে করে অবশ্যই আমার কিছু ইনপুট থাকবে ওইখানে। আর যদি ওরা মনে করে আমার ইনপুট না হলে ভালো হবে বা চলবে অথবা আমি যদি ফিল করি কোনো ধরনের সমস্যা হচ্ছে তাহলে তাদের সঙ্গে আলোচনা করব।’
সেই সঙ্গে রাজ্জাক মনে করিয়ে দিয়েছেন এটা নতুন কোনো পদ নয়। রাজ্জাক বলেন, ‘এটা নতুন পদ না কিন্তু। টিম ডিরেক্টর কিন্তু অনেক আগে থেকেই ছিল। মাঝে হয়ত বেশ কিছুদিন ছিল না। কম পরিচালক ছিল এসব কারণে হয়ত। তখন কিন্তু আমাদের ক্রিকেট অপারেশন্সের পরিচালক যেতেন। এটা আসলে নতুন তৈরি করা পদ না। মাঝে কিছুদিন পরিচালক সংখ্যা কম ছিল যেহেতু এজন্য হয়ত যেতে পারতেন না।’