তাহিরের ৮০ ও মেহেদীর অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে চট্টগ্রামের জয়

বিপিএল
বিসিবি
বিসিবি
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাটিং করতে না পারলেও ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৬৯ বলে ৮০ রানের ইনিংস খেলে চট্টগ্রাম রয়্যালসকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়েছিলেন মির্জা তাহির বেগ। ম্যাচ জিততে বাকি কাজটা সেরেছেন চট্টগ্রামের বোলাররা। ব্যাটিংয়ে দুইশ স্ট্রাইক রেটে ২৬ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলা শেখ মেহেদী বোলিংয়ে ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। খানিকটা খরুচে হলেও তিনটি উইকেট নিয়েছেন তানভির ইসলাম। তাদের এমন বোলিংয়ের সঙ্গে নোয়াখালী এক্সপ্রেসের ব্যাটারদের ব্যর্থতায় সহজ পেয়েছে চট্টগ্রাম। ৬৫ রানে হেরে বিপিএল শুরু নোয়াখালীর।

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ১৭৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো করেন সাদাকাত ও হাবিবুর রহমান সোহান। প্রথম দুই ওভারে কোন উইকেট না হারিযে ১৯ রান তোলেন দুজন। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই শরিফুল ইসলামকে চার মারেন সোহান। যদিও এক বল পরই তাকে ফিরিয়েছেন শরিফুল। বাঁহাতি পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে জায়গায় দাঁড়িয়ে এক্সট্রা কভারের উপর দিয়ে খেলতে গিয়ে এজ হয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন ৭ বলে ১৫ রান করা সোহান।

চতুর্থ ওভারে ফেরেন সাব্বির হোসেনও। মেহেদীর বলে স্লগ সুইপ করতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে টপ এজ হয়ে ফাইন লেগে শরিফুলের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন সাব্বির। পরের ওভারে সৈকত আলীর উইকেট নেন তানভির ইসলাম। বাঁহাতি স্পিনারের ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন নোয়াখালীর অধিনায়ক। দলের প্রয়োজনে জ্বলে উঠতে পারেননি জাকের আলীও। মেহেদীর বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হয়েছেন ১২ বলে ৬ রান করে।

দ্রুতই চার উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে নোয়াখালী। দ্রুত রান তুলতে পারছিলেন না সাদাকাত-হায়দারও। তবে মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ ও তানভিরের করা দুই ওভারে কয়েকটি বাউন্ডারি মেরে জড়তা কাটানোর চেষ্টা করেন তারা দুজন। আক্রমণাত্বক হয়ে উঠার চেষ্টায় ২৮ বলে ৩৮ রান করে আউট হয়েছেন সাদাকাত। আবু হায়দার রনির বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলার চেষ্টায় তানভিরের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন বাঁহাতি এই ওপেনার।

পরের ওভারে তানভিরকে টানা দুই বলে দুই ছক্কা মারেন হায়দার। পরের বলেও ছক্কা মারতে চেয়েছিলেন। তবে বাঁহাতি স্পিনারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে এক্সট্রা কভারের উপর দিয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে মাহমুদুল হাসান জয়ের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ২৪ বলে ২৮ রান করে। পরের বলে আউট হয়েছেন হাসান মাহমুদ। ১০০ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর কেউই সেভাবে কিছু করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ১০৯ রানে অল আউট হয় নোয়াখালী। চট্টগ্রামের হয়ে তানভির তিনটি এবং মেহেদী, শরিফুল ও মুগ্ধ দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন।

এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে চট্টগ্রামকে ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি দুই ওপেনার মির্জা তাহিরও নাইম শেখ। তাদের দুজনের ২৯ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান রানা। বাঁহাতি পেসারের বলে ১১ রান করে আউট হয়েছেন নাইম। দ্বিতীয় উইকেটে তাহিরকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি মাহফিজুল ইসলাম রবিন। তরুণ ব্যাটার আউট হয়েছেন ১৬ রানে। বাকিদের আসা-যাওয়ার মিছিলে একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন তাহির।

তৃতীয় উইকেটে জয়কে সঙ্গে নিয়ে যোগ করেন ৫৮ রান। সবশেষ এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করা জয় আউট হয়েছেন ১৭ রানে। তবে অধিনায়ক মেহেদী ১৩ বলে ২৬ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন। ৪৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা পাকিস্তানি তাহির আউট হয়েছেন ৬৯ বরে ৮০ রানের ইনিংস খেলে। নোয়াখালীর হয়ে দুইটি উইকেট নিয়েছেন সাব্বির। একটি করে উইকেট পেয়েছেন হাসান, রানা, জহির খান ও সাদাকাত।

আরো পড়ুন: