রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ইনিংসের নবম ওভারে ব্যাটিংয়ে আসেন ইমন। সেখান থেকে ইনিংসের বাকিটা সময় অনায়াসে কাটিয়ে দিয়েছেন তিনি। ২৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া বাঁহাতি ব্যাটার শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৫ ছক্কা ও ৪টি চারে ৩৩ বলে ৬৫ রানের ইনিংস খেলে। বিপিএলে খেলেই সব জায়গার জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখছেন ইমন। তিনি বলেন, ‘প্রস্তুতিটা এখান থেকেই নিচ্ছি। আমার জন্য এটা একটা ভালো সুযোগ যেকোন জায়গায় খেলা এবং নিজেকে প্রস্তুত রাখা।’
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করেছিলেন ইমন। সেদিন অবশ্য তানজিদ হাসান তামিমের সঙ্গে ওপেন করেছিলেন তিনি। সিলেট টাইটান্সের হয়েও ওপেন করতে পারলে সেঞ্চুরির সুযোগটা থাকতো কিনা, এমন প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়া হয় ইমনকে। তরুণ ব্যাটার অবশ্য দলের প্রয়োজনকে দিলেন অগ্রাধিকার।
ইমন বলেন, ‘এটা (ওপেনিংয়ে নামলে সেঞ্চুরি) হতে পারতো। যদি ওপেন করতাম তাহলে আরও বড় ইনিংস খেলতে পারতাম। আবার নাও হতে পারতো। দলের আমাকে এখানে প্রয়োজন ছিল, সুতরাং আমি আমার সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করেছি। আলহামদুলিল্লাহ ভালো শেষ করেছি।’
সিলেটের হয়ে ওপেনিং ছেড়ে চারে খেলতেও আপত্তি নেই ইমনের। বাঁহাতি ব্যাটার বলেন, ‘আমি আমার সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করব আর দলের থেকে আমাকে যেখানে প্রয়োজন...ওইটা আমার ফিল করা গুরুত্বপূর্ণ। আমাকে দলের জন্য খেলতে হবে।’
সবশেষ কয়েক মাস ধরেই বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলে নেই নাজমুল হোসেন শান্ত। বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচেই অবশ্য ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক। রাজশাহীকে ৮ উইকেটের জয় এনে দেয়ার পাশাপাশি ১০১ রানের ইনিংস খেলে হয়েছেন ম্যাচসেরা। শান্তর এমন পারফরম্যান্সে জাতীয় দলে টপ অর্ডারে ব্যাটিং করা তানজিদ, লিটন, সাইফ হাসান ও ইমনদের জন্য চাপ হয়ে উঠতে পারে।
ইমন অবশ্য এটাকে স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা হিসেবেই দেখছেন। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই, আমাদের বাংলাদেশ দল যদি ভালো ফলাফল করতে চায় তাহলে এই (স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা) খুব গুরুত্বপূর্ণ। অন্যথায় কেউ যদি জেনেই যায় আমি ওই জায়গায় ফিক্সড, তাহলে দল খুব ভালো আউটপুট পাবে বলে মনে হয় না। অবশ্যই এটা থাকা গুরুত্বপূর্ণ।’