টানা পাঁচ হারে তলানিতেই থাকল ঢাকা

ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ
আবারও হারল শাকিব খানের ঢাকা
চিটাগং কিংসকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন ও শামীম হোসেন পাটোয়ারী, ক্রিকফ্রেঞ্জি
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
টানা চার ম্যাচ হেরে আগে থেকেই পয়েন্ট তালিকার তলানিতে ছিল ঢাকা ক্যাপিটালস। কখনও ব্যাটিং ব্যর্থতা আবার কখনও বোলিংয়ে মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গ খুঁজে না পাওয়া। ঢাকার ‘হাজারটা’ সমস্যার সমাধান খুঁজে পাওয়া যায়নি, তাতে সিলেটে প্রথম দুই ম্যাচ খেলেও ভাগ্য বদলাতে পারেননি। চিটাগং কিংসের বিপক্ষে ঢাকার পুঁজিটা একেবারে খারাপ ছিল না। সাব্বির রহমানের ৩৩ বলে অপরাজিত বিধ্বংসী ৮২ রানের ইনিংসে ১৭৭ রান করতে পেরেছিল তারা।

সাব্বিরের ফেরার বার্তা দেয়া ইনিংস ম্লান হয়েছে বিবর্ণ বোলিংয়ে। উসমান খান, গ্রাহাম ক্লার্ক, মোহাম্মদ মিঠুন, শামীমদের বিপক্ষে সেভাবে জয়ের আশাই জাগাতে পারেননি থিসারা পেরেরা। চিটাগং ১৭৮ রানের লক্ষ্য পেরিয়ে গেছে ৭ উইকেট হাতে থাকতেই। টানা ৫ হারে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে নিজেদের জায়গায় আরও পোক্ত করেছে ক্যাপিটালসরা।

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ১৭৮ রান তাড়ায় চিটাগংকে ভালো শুরু এনে দেন উসমান ও পারভেজ হোসেন ইমন। তাদের দুজনের ব্যাটে পাওয়ার প্লেতে কোন না হারিয়ে ৫৫ রান তোলে চিটাগং। পাওয়ার প্লে শেষ হতেই অবশ্য উইকেট হারায় তারা। ফারমানুল্লাহ শাফির বলে উইকেটের পেছনে থাকা স্টিফেন এস্কিনাজির গ্লাভসে ক্যাচ দিয়েছেন পারভেজ ইমন। তরুণ বাঁহাতি ওপেনার আউট হয়েছেন ১৭ রানে।

ইমন ফিরলেও অন্যপ্রান্ত ঠিকই আগলে রেখেছিলেন উসমান। দারুণ ব্যাটিংয়ে নাজমুল ইসলাম অপুর টানা দুই বলে দুই ছক্কা মেরে ২৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন পাকিস্তানের এই ব্যাটার। যদিও পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর তাকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি মুস্তাফিজুর রহমান। বাঁহাতি এই পেসারের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সীমানার কাছে দাঁড়িয়ে থাকা অপুকে ক্যাচ দিয়েছেন ৫৫ রান করা উসমান। 

ক্লার্কের সঙ্গে যোগ দিয়ে চিটাগংকে টেনে নিয়ে যেতে থাকেন মিঠুন। তাদের দুজনের জুটিতে একটু একটু করে জয়ের পথে এগোতে থাকে দলটি। তাদের দুজনের জুটি ভাঙেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ডানহাতি অফ স্পিনারের বলে স্কুপ করতে গিয়ে ফাইন লেগে জেসন রয়ের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৩৯ রান করা ক্লার্ক। শেষ পর্যন্ত মিঠুনের ৩৩ ও শামীমের ৩০ রানে ৭ উইকেটের জয় পায় চিটাগং।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি ঢাকার। ‍দুই ম্যাচের জন্য বিপিএলে খেলতে আসা রয় চিটাগংয়ের বিপক্ষেও ব্যর্থ হয়েছেন। আলিস আল ইসলামের বলে স্টাম্পিং হয়ে ফেরার আগে মাত্র এক রান করেছেন তিনি। তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি এস্কিনাজি। একাদশে ফিরলেও ব্যর্থ হয়েছেন শাহাদাত হোসেন দিপু। খালেদ আহমেদের বলে  আউট হওয়ার আগে ৯ রান করেছেন। 

৬৬ রানে ৩ উইকেট হারানো ঢাকার হয়ে হাল ধরেন সাব্বির ও তানজিদ হাসান তামিম। তবে তাদের দুজনের কেউই প্রত্যাশিত রান তুলতে পারছিলেন না। ধীরগতির ব্যাটিংয়ে ৪৮ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলেছেন তানজিদ। বাঁহাতি ওপেনারকে বিদায় করেন মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র। এরপর ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালাতে থাকেন সাব্বির। আরাফাত হোসেন সানি, আলিসরা যেন বল ফেলার জায়গাই খুঁজে পাচ্ছিলেন না। 

শুরুতে ধুঁকলেও অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে ২২ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন এক মৌসুম পর বিপিএলে ফেরা সাব্বির। তাকে ঠিকঠাক সঙ্গ দিতে পারেননি পেরেরা, ফারমানুল্লাহরা। তবে এক প্রান্তে ঝড় তুলে ৯ ছক্বা ও ৩ চারে ৩৩ বলে ৮২ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন। সাব্বিরের ব্যাটের উপর ভর করেই ১৭৭ রানের পুঁজি পায় ঢাকা। চিটাগংয়ের হয়ে ২১ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন পেসার খালেদ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর-

দুর্দান্ত ঢাকা- ১৭৭/৫ (২০ ওভার) (তানজিদ ৫৪, সাব্বির ৮২*)

চিটাগং কিংস- ১৮০/৩ (১৯.৩ ওভার) (পারভেজ ১৭, উসমান ৫৫, ক্লার্ক ৩৯, মিঠুন ৩৩*, শামীম ৩০*)

আরো পড়ুন: উসমান খান