নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগে স্বাভাবিকভাবেই সেন্টার উইকেটের পাশে ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়েছেন ক্রিকেটাররা। প্রেসবক্স থেকে তাকালে ডান পাশের উইকেটে ব্যাটিং করছিলেন লিটন দাস। স্পিনারদের বিপক্ষে নিজেকে ঝালিয়ে নিতেই রিশাদ হোসেন, শেখ মেহেদী ও তানভীর ইসলামের বিপক্ষে খেলছিলেন তিনি। স্পিন ছেড়ে লিটন একটু পর গেলেন পাশের উইকেটে, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমানের বিপক্ষে খেলতে।
ব্যাট হাতে ছন্দে না থাকলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভাবনায় শ্রীলঙ্কা সফরের ওয়ানডে দলে সুযোগ পেয়েছিলেন লিটন দাস। তবে প্রথম ম্যাচ খেলার পরই একাদশের বাইরে রাখে টিম ম্যানেজমেন্ট। লিটনের জায়গায় সিরিজের শেষ দুই ওয়ানডেতে খেলানো হয় শামীম হোসেন পাটোয়ারীকে। সিরিজ হারের পর মেহেদী হাসান মিরাজ জানালেন, ষষ্ঠ বোলারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করায় লিটনের জায়গায় শামীমকে খেলিয়েছেন তারা।
টানা চার ম্যাচ হেরে আগে থেকেই পয়েন্ট তালিকার তলানিতে ছিল ঢাকা ক্যাপিটালস। কখনও ব্যাটিং ব্যর্থতা আবার কখনও বোলিংয়ে মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গ খুঁজে না পাওয়া। ঢাকার ‘হাজারটা’ সমস্যার সমাধান খুঁজে পাওয়া যায়নি, তাতে সিলেটে প্রথম দুই ম্যাচ খেলেও ভাগ্য বদলাতে পারেননি। চিটাগং কিংসের বিপক্ষে ঢাকার পুঁজিটা একেবারে খারাপ ছিল না। সাব্বির রহমানের ৩৩ বলে অপরাজিত বিধ্বংসী ৮২ রানের ইনিংসে ১৭৭ রান করতে পেরেছিল তারা।
পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) প্লেয়ার্স ড্রাফটে নাম দিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান ও সাকিব আল হাসান। এমন খবর আগেই প্রকাশ করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তাদের সঙ্গে প্লাটিনাম ও ডায়মন্ড ক্যাটাগরিতে থাকা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, হাসান মাহমুদ, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিব, তাসকিন আহমেদ ও তাওহীদ হৃদয়ের কথাও নিশ্চিত হওয়া গেছে কদিন আগে।
সবশেষ কয়েক বছরে পুরোপুরি বদলে গেছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের মাঝে। ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের জনপ্রিয়তা বাড়তেই ২০ ওভারের ক্রিকেটে রানের প্রতি ভালোবাসা বেড়েছে সমর্থকদের। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট রান না হলে যেন সত্যিকারের সেই তৃপ্তিটা পাওয়া যায় না। দর্শকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে আইপিএলের হাত ধরে রান উৎসব বেড়েছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে। গত বিপিএলে ট্রাভিস হেড, অভিষেক শর্মা, হেনরিখ ক্লাসেনের মতো অন্যরাও নিজেদের উজাড় করে দিয়েছেন।
শেখ মেহেদী আউট হয়ে ড্রেসিং রুমে ফিরছেন আর শামীম হোসেন পাটোয়ারী উইকেট আসছেন। জাকের আলীর সঙ্গে জুটি গড়তে শামীম যখন উইকেটে এলেন তখন ১৪.২ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের রান ৭২! সেখান থেকে সফরকারীরা একশ ছুঁতে পারবেন কিনা সেটার শঙ্কা ঘুরপাক খাচ্ছে সমর্থকদের মনে। একটু পর জাকের বিদায় দিলে সেই শঙ্কা আরও ঘনীভূত হয়। তবে প্রথম ম্যাচে শামীম যেখানে শেষ করেছিলেন দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে যেন সেখান থেকেই শুরু করলেন।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরের পর থেকেই জাতীয় দলে ছিলেন না শামীম হোসেন পাটোয়ারী। বছরখানেক পর বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলে ফিরেই কার্যকরী ইনিংসে অবদান রেখেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। নিজের ফেরার ম্যাচে ২৭ রানের ইনিংস খেলা শামীম জানিয়েছেন, নিজের ও দলের জন্য ইনিংসটা অনেক দরকার ছিল। সেই সঙ্গে সিরিজ জয়ে চোখ রাখছেন তিনি।