তারকায় ঠাঁসা বরিশালকে হারিয়ে রংপুরের হ্যাটট্রিক
ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি
এই ম্যাচে জয়ের জন্য ১২৫ রানের লক্ষ্যটা খুব বেশি বড় ছিল না রংপুরের জন্য। তবে এমন লক্ষ্য তাড়ায়ও দ্রুতই উইকেট হারায় তারা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই উইকেট হারায় ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নরা। অভিষিক্ত ইকবাল হোসেন ইমনের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে পয়েন্টে থাকা মোহাম্মদ নবির হাতে ক্যাচ দিয়েছেন আজিজুল হক তামিম।
রংপুরের হয়ে বিপিএলে অভিষেক হওয়া যুব এশিয়া কাপ জয়ী অধিনায়ক ফিরেছেন গোল্ডেন ডাক মেরে। তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি তৌফিক খান তুষার। একই ওভারে ডানহাতি এই ব্যাটারকে নিজের শিকার বানিয়েছেন ইমন। ডানহাতি পেসারের বলে তানভীর ইসলামের হাতে ক্যাচ দিয়ে রানের খাতা খোলার আগেই আউট হয়েছেন তৌফিক। এক ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে খানিকটা বিপাকে পড়ে রংপুর।
যদিও সেখান থেকে তাদেরকে টেনে তোলেন হেলস ও সাইফ। তাদের দুজনের সাবধানী ব্যাটিংয়ে একটু একটু করে এগিয়ে যেতে থাকে রংপুর। ইমনের বলে ফিরে যেতে পারতেন হেলস। তবে তরুণ পেসারের বলে উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে ডিপ কভারে তাওহীদ হৃদয়ের ক্যাচ দিলেও সেটা লুফে নিতে পারেননি। প্রথম ম্যাচে চল্লিশ পেরোনো ইনিংস খেললেও দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যর্থ ছিলেন সাইফ।
বরিশালের বিপক্ষে দলের প্রত্যাশা মিটিয়ে ৩৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ম্যাচের একদম শেষদিকে ব্যক্তিগত ৪২ রানে হেলসকে জীবন দেন তামিম ইকবাল। পুল করতে গিয়েছিলেন হেলস। তবে ব্যাটে বলে করতে পারেননি। এরপর লং অনের সীমানায় সহজ ক্যাচ নিতে পারেননি বরিশাল অধিনায়ক। এরপর ফাহিম আশরাফকে ছক্কা মেরে রংপুরকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন হেলস।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরুর আভাস দিলেও সেটার ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেননি বরিশালের ব্যাটাররা। প্রথম ম্যাচের মতো এবারও ব্যর্থ হয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনে নেমে হৃদয়ও ফিরেছেন দ্রুতই। এক প্রান্তে তামিম ইকবাল ঝড়ো ব্যাটিং করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। বাঁহাতি ওপেনারকে দারুণ এক ইয়র্কারে বোল্ড করেছেন নাহিদ রানা।
বরিশালের অধিনায়ক ১৮ বলে ২৮ রান করে আউট হয়েছেন। কাইল মেয়ার্স, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম কেউই ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি। দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে লোয়ার অর্ডারে আলো ছড়ানো শাহীন শাহ আফ্রিদি, ফাহিম আশরাফও কিছু করে দেখাতে পারেননি। শেষদিকে নবির ২১ রানের উপর ভর করে ১২৪ রানের পুঁজি পায় বরিশাল। রংপুরের হয়ে খুশদিল শাহ তিনটি উইকেট নিয়েছেন। এ ছাড়া দুটি করে উইকেট পেয়েছেন নাহিদ ও ইফতিখার।