টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অন্যান্য দেশ এগিয়ে গেলেও তাদের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারেনি বাংলাদেশ। বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট এলে ঘাটতিটা আরও স্পষ্ট হয়। দল হিসেবে এখনো ভালো মানের টি-টোয়েন্টি দল হয়ে উঠতে না পারলেও আশার আলো দেখাচ্ছেন তরুণ ব্যাটাররা। ২০০৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রতি ম্যাচে ৩.৮১ টি ছক্কা মেরেছে বাংলাদেশ। পূর্ণ সদস্যের দেশের মধ্যে সবচেয়ে কম।
২০২৪ সালে অবশ্য প্রতি ম্যাচে ৫.০৮টি করে ছক্কা মেরেছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। চলতি বছরে এসে সেটা লাফিয়ে উঠে গেছে ৭.৭৩—এ। বদলে যাওয়া বাংলাদেশের হয়ে চলতি বছরে তানজিদ ২৪, ইমন ২৩, জাকের আলী অনিক ২৭ ও শামীম হোসেন পাটোয়ারি ২৪টি ছক্কা মেরেছেন। তবে এশিয়া কাপে শুধু ছক্কা মারার জন্যই ব্যাটারদের প্রভাবিত করছেন না লিটন। বরং প্রতিপক্ষ দেখে স্মার্ট ক্রিকেট খেলার পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।
এ প্রসঙ্গে লিটন বলেন, ‘অবশ্যই, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আপনি যখন বড় বড় ছয় মারবেন এটা একটা প্লাস পয়েন্ট। আপনি জানেন যেকোনো বিপদে, পরিস্থিতি থেকে আপনি বের হয়ে আসতে পারবেন। কিন্তু একই সঙ্গে আপনাকে এটা বুঝতে হবে প্রতি ম্যাচে ছয় মারলেই চলবে না। আপনাকে বুঝতে হবে বাউন্ডারি কতখানি আছে, প্রতিপক্ষ কেমন। আমার মনে হয় আমাদেরকে স্মার্ট ক্রিকেট খেলতে হবে, শুধু ছয় মারার চেষ্টার থেকে।’
সবশেষ কয়েকটি সিরিজে ব্যাটে হাতে আলো ছড়িয়েছেন বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটাররা। মাঝে মাঝে সুযোগ এলেও সেটা কাজে লাগাতে পারেননি মিডল অর্ডার ব্যাটাররা। নেদারল্যান্ডস সিরিজে মিডল অর্ডার ব্যাটাররা সেভাবে সুযোগও পাননি। তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেলেও তাওহীদ হৃদয়রা প্রত্যাশিত ব্যাটিং করতে পারেননি। যদিও এসব নিয়ে চিন্তিত নন লিটন।
বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক বলেন, ‘আপনি কয়েকটা গেইম যদি দেখেন সাম্প্রতিক সময়ে—আমরা টপ অর্ডাররা খুব ভালো পারফরম্যান্স করেছি। মিডল অর্ডারের হাতে খুব বেশি একটা দায়িত্ব আসেনি। আমি বিশ্বাস করি মিডল অর্ডারের হাতে যখনই দায়িত্ব আসবে তারা ঘুরে দাঁড়াবে। আগেও করেছে এবং তারা করে দেখাবে।’