দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরির সুযোগ তৈরি করলেও সেটা করতে পারেননি পরান। ডানহাতি ব্যাটারের সেঞ্চুরি মিসের দিনে চট্টগ্রাম বিভাগের হয়ে পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেলেছেন সাজ্জাদুল হক রিপন এবং ইরফান শুক্কুর। তিন হাফ সেঞ্চুরিতে প্রথম দিন শেষে খুলনা বিভাগের বিপক্ষে ৮ উইকেটে ৩৮০ রান করেছে চট্টগ্রাম। ভিন্ন আরেকটি ম্যাচে বরিশাল বিভাগকে মাত্র ২১২ রানে গুঁড়িয়ে দিয়েছে রাজশাহী বিভাগ।
চলতি জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথম ইনিংসেই রানের পাহাড় গড়েছে ময়মংসিংহ বিভাগ। আগের দিনই সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছিলেন দুই ওপেনার নাইম শেখ ও মাহফিজুল ইসলাম। দ্বিতীয় দিন সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন দলটির ব্যাটার আব্দুল মজিদ।
হাফ সেঞ্চুরিয়ান এসএম মেহেরব হাসান ফিরলেন সকালের শুরুতেই। সাবধানী ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরির আশা জাগালেন প্রিতম কুমারও। যদিও শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি ডানহাতি উইকেটকিপার ব্যাটারের। পরবর্তীতে হাফ সেঞ্চুরি পেলেন শাখির হোসেন শুভ্রও। তবুও জয়ের জন্য যথেষ্ট হলো না রাজশাহী বিভাগের। জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) প্রথম রাউন্ডে হার দেখতে হয়েছে সাব্বির রহমানদের। রাজশাহীকে ১১২ রানে হারিয়ে শুরুটা ভালো করলেন চট্টগ্রাম বিভাগের ইয়াসির আলী রাব্বি, মুমিনুল হক, মাহমুদুল হাসান জয়রা।
ম্যাচ জিততে শেষ ১৮ বলে খুলনা বিভাগের প্রয়োজন ছিল ৩৫ রান। এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে হাসান মুরাদকে লং অফ ও লং অনের উপর দিয়ে টানা দুই বলে দুই ছক্কা মারেন অভিষেক দাস অরণ্য। একই ওভারে নাহিদুল ইসলাম মেরেছেন একটি চার। মুরাদের সেই ওভার থেকে ১৮ রান আসায় সমীকরণটা সহজ হয়ে যায় খুলনার জন্য। অষ্টম ওভার এক চারে অভিষেক ও নাহিদুল মিলে এনেছেন ১০ রান। ফলে ম্যাচ জিততে শেষ ওভারে ৭ রান করতে হতো তাদের।
৪ ওভারে ৩৮ রান খরচায় সৈকত আলীর উইকেট নিয়েছিলেন নাসির হোসেন। বোলিংয়ে এক উইকেট নিলেও ব্যাটিংয়ে প্রত্যাশিতভাবে পারফর্ম করেছে তিনি। হাসান মুরাদের বলে আউট হওয়ার আগে ২ ছক্কা ও চারটি চারে ৩২ বলে খেলেছেন ৪৩ রানের ইনিংস। নাসিরের এমন ব্যাটিংয়ের সঙ্গে জাহিদ জাভেদের ৩৯, আকবর আলীর ১৪ বলে অপরাজিত ২৬ রানে ইনিংসে ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে রংপুর বিভাগ।
আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৮৫ রান তুলে নিয়ে বেশ স্বস্তিতেই ছিল ঢাকা মেট্রো। তবে এমন বড় লক্ষ্যও অনায়াসে পেরিয়ে গেছে চট্টগ্রাম বিভাগ। তাও আবার ৮ উইকেট আর ১৯ বল হাতে রেখে। শাহাদাত হোসেন দিপু ৩৬ বলে ৬৪ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলেছেন। মাহমুদুল হাসান জয়ও পেয়েছেন ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরি।
প্রথম ম্যাচে রান পাননি। প্রায় সাত মাস পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরে তামিম ইকবাল হতাশ করেছিলেন ভক্তদের। তবে পরের দিন দ্বিতীয় ম্যাচে সেই হতাশাকে রূপ দিলেন আনন্দে। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে টি-টোয়েন্টিতে নিজের ৫০তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম। তার ৩৩ বলে ৬৫ রানের ইনিংসে ম্যাচও জিতেছে চট্টগ্রাম। এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে সিলেটকে ১২ রানে হারায় তামিমের দলটি।