বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আবারও ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে দলটি। তারা অল আউট হয়ে যায় ২০৫ রানে। ফলে ১৪৭ রানের বড় হারের স্বাদ পায় চট্টগ্রাম। শুরুতেই শূন্য রানে ফিরে যান সাদিকুর রহমান। এরপর জসিম উদ্দিন ও জিল্লুর রহমান মিলে দলের হাল ধরেন। তবে তাদের কেউই ইনিংস বড় করতে পারেননি। ২৫ রান করেন জসিম আর ২৭ রান করেন জিল্লুর।
একপ্রান্ত আগলে রেখে ৬০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন শাহাদাত হোসেন দিপু। তবে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি কেউই। ইরফান শুক্কুরের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৭ রান। চট্টগ্রামের শেষ চার ব্যাটারই আউট হয়েছেন দুই অঙ্কে যাওয়ার আগেই। আগের ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে চট্টগ্রামের ইনিংস ধসিয়ে দিয়েছিলেন আবু জায়েদ রাহি।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ৩টি উইকেট নিয়েছেন রেজাউর রহমান রাজা। এর আগে প্রথম ইনিংসে রাজার ঝুলিতে ছিল ২ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে একটি করে উইকেট পান মহিউদ্দিন তারেক ও শাহানুর রহমান। এদিন ৬ উইকেটে ১৯৩ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল সিলেট। ৫৮ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন অমিত হাসান। তিনি আর এক রানও যোগ করতে পারেননি।
শেষদিকে শাহানুর রহমান ১৩ রান করেছেন। শেষ চার ব্যাটার দুই অঙ্কে যাওয়ার আগেই আউট হলে সিলেটের ইনিংস গুটিয়ে যায় ২০৭ রানে। চট্টগ্রামের হয়ে ৫টি করে উইকেট নিয়ে ১০ উইকেট ভাগাভাগি করেন ইরফান হোসেন ও নাইম হাসান।
আরেক ম্যাচে সৌম্য সরকারের সেঞ্চুরিতে ভর করে ৩৮৭ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিল খুলনা বিভাগ। জবাবে দিতে নেমে সমানে সমান টক্কর দিচ্ছে ময়মনসিংহ বিভাগ। তারা ৭ উইকেটে ৩৮৭ রান করে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে। ময়মনসিংহ ৩ উইকেটে ১৭০ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করেছিল।
৪৮ রান নিয়ে অপরাজিত থাকা আজিজুল হাকিম তামিম এদিন সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপে পুড়েছেন। তিনি ১৪৫ বলে ৮১ রান করে আউট হয়েছেন। আব্দুল মজিদ তুলে নিয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি। তার ব্যাট থেকে আসে ৫৭ রান। ৬২ রান করে অপরাজিত আছেন আল আমিন জুনিয়র। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছেন আরিফ আহমেদ। তিনি ৫৯ রান করে অপরাজিত আছেন।
খুলনার হয়ে সফর আলী ৩টি উইকেট নিয়েছেন। দুটি উইকেট নেন সামিউন বশির রাতুল। একটি করে উইকেট যোগ করেন পারভেজ জীবন ও জিয়াউর রহমান। কার্যত খুলনার সমান রান করেই তৃতীয় দিনের খেলা শেশ করেছে ময়মনসিংহ। তাদের হাতে এখনও ৩ উইকেট। এখন দেখার বিষয় কত রানের লিড নিতে পারে তারা।