পরানের সেঞ্চুরি মিস, দুইশ পেরিয়ে থামল বরিশাল

ঘরোয়া
পরানের সেঞ্চুরি মিস, দুইশ পেরিয়ে থামল বরিশাল
ভিডিও থেকে নেয়া
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরির সুযোগ তৈরি করলেও সেটা করতে পারেননি পরান। ডানহাতি ব্যাটারের সেঞ্চুরি মিসের দিনে চট্টগ্রাম বিভাগের হয়ে পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেলেছেন সাজ্জাদুল হক রিপন এবং ইরফান শুক্কুর। তিন হাফ সেঞ্চুরিতে প্রথম দিন শেষে খুলনা বিভাগের বিপক্ষে ৮ উইকেটে ৩৮০ রান করেছে চট্টগ্রাম। ভিন্ন আরেকটি ম্যাচে বরিশাল বিভাগকে মাত্র ২১২ রানে গুঁড়িয়ে দিয়েছে রাজশাহী বিভাগ।

পরানের সেঞ্চুরি মিস, চারশর কাছে চট্টগ্রাম

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা চট্টগ্রামের শুরুটা ভালো হয়নি। দ্রুতগতিতে রান তোলার চেষ্টায় ইনিংসের সপ্তম ওভারে ফিরতে হয় পারভেজ হোসেন ইমনকে। বাঁহাতি ওপেনার ফিরেছেন ২ চার ও এক ছক্কায় ১৪ বলে ১৮ রান করে একটু পর আউট হয়েছেন জসিম উদ্দিনও। দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর সাদিকুর রহমান ও পরান মিলে জুটি গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। চট্টগ্রামের রান একশ ছোঁয়ার আগেই ফেরেন সাদিকুর। ৫৯ বলে ৩৫ রান করে ফিরেছেন তিনি।

ব্যাট হাতে সুবিধা করে উঠতে পারেননি শাহাদাত হোসেন দিপু। রানের খাতা খোলার আগেই সফর আলীর বলে আউট হয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। দারুণ ব্যাটিংয়ে ৬৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন পরান। সাবলীল ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরির পথেও হাঁটছিলেন তিনি। যদিও তাকে সেঞ্চুরি পেতে দেননি ইয়ানিন মুনতাসির। ডানহাতি লেগ স্পিনারের বলে বোল্ড হয়েছেন ১০০ বলে ৯১ রানের ইনিংস খেলে। চারটি ছক্কার সঙ্গে ১০টি চারও মেরেছেন পরান।

তাঁর বিদায়ে ভাঙে সাজ্জাদুল হোসেন রিপনের সঙ্গে ৯৪ রানের জুটি। পরান ফেরার পর ৯৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন সাজ্জাদুলও। ইরফান শুক্কুরের সঙ্গে গড়েন ৬৯ রানের জুটিও। তবে হাফ সেঞ্চুরির পর দ্রুতই ফিরতে হয় সাজ্জাদুলকে। ১০৬ বলে ৫৬ রান করে আউট হয়েছেন তিনি। পরবর্তীতে ৭২ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলেছেন ইরফান। নাঈম হাসানের ব্যাট থেকে এসেছে ৪৫ রান। খুলনার হয়ে সফর চারটি এবং মেহেদী হাসান রানা নিয়েছেন ‍দুইটি উইকেট।

২১২ রানে অল আউট বরিশাল

খুলনা বিভাগীয় স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু পেয়েছিল বরিশাল। জাহিদুজ্জামান খান ও ইফতেখার হোসেন ইফতি মিলে উদ্বোধনী জুটিতে ৬২ রান যোগ করেন। ৭০ বলে ২৯ রান করে ফেরেন জাহিদুজ্জামান। তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি ফজলে মাহমুদ রাব্বি। বাঁহাতি ব্যাটার আউট হয়েছেন ১২ রানে। হাফ সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে ১২১ বলে ৪০ রান করে আউট হয়েছেন ইফতেখার। দ্রুতই ফেরেন শামসুর রহমান শুভ, তাসামুল হক। ৯৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বরিশাল।

সেখান থেকে বাকিরা আসা-যাওয়ার মিছিলে থাকলেও একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মোহাম্মদ সালমান। মইন খানের সঙ্গে ৬২ রানের জুটিও গড়েন। মইন ২৩ রানে আউট হলেও হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন সালমান। আউট হওয়ার আগে করেছেন ১০২ বলে ৫৮ রান। শেষ পর্যন্ত ২১২ রানে অল আউট হয় বরিশাল। রাজশাহীর হয়ে দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন শফিকুল ইসলাম, আলী মোহাম্মদ ওয়ালিদ, রহিম আহমেদ, নিহাদ উজ জামান ও সানজামুল ইসলাম। শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪.১ ওভারে বিনা উইকেটে ৬ রান তুলেছে রাজশাহী।

আরো পড়ুন: এনসিএল