এদিন প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে নিজের ১৪তম সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন মজিদ। ১১৯ রানের ইনিংস খেলার পথে তিনি ৩টি ছক্কা ও ১০টি চার মেরেছেন। শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন। ময়মংসিংহ ৫৫৫ রানে ইনিংস ঘোষণা না করলে সেই ইনিংস আরও বড় হতে পারত।
তিন সেঞ্চুরির সঙ্গে জোড়া ফিফটিও পেয়েছে ময়মনসিংহ। হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন শুভাগত হোম ও আবু হায়দার রনি। শুভাগত ৬৫ রান করেছেন। অন্যদিকে ৬০ রান করে অপরাজিত থেকেছেন রনি। রংপুরের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিয়েছেন আবু হাসিম।
ময়মনসিংহের রান বন্যার জবাবে শুরুটা ভালো হয়নি রংপুরের। তারা ২ উইকেটে ১৮ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে। ২ রান করা জাহিদ জাভেদের সঙ্গে আছেন রানের খাতা না খোলা নাইম ইসলাম। ময়মনসিংহের হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন রাকিবুল হাসান ও শুভাগত। দিন শেষে ময়মনসিংহের চেয়ে ৫৩৭ রানে পিছিয়ে আছে রংপুর।
একই দিন কক্সবাজারের একাডেমী মাঠে সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপে পুড়েছেন বাংলাদেশ দলের প্রাক্তন টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক। তিনি ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেছেন। আগেরদিন মুমিনুলের সতীর্থ সাদিকুর রহমান ১২২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। মুমিনুল তার ১৪৫ বলে খেলা ৯২ রানের ইনিংস সাজিয়েছেন ১০টি চারে।
দুজনের বড় ইনিংসের সুবাদে বরিশাল বিভাগের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩৫৮ রান করেছে চট্টগ্রাম। দলটির আর কোনো ব্যাটার হাফ সেঞ্চুরিও পাননি। বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার তানভির ইসলাম। দুটি করে উইকেট নেন রুয়েল মিয়া ও মঈন খান। একটি করে উইকেট পেয়েছেন ইয়াসিন আরাফাত ও শামসুর রহমান।
চট্টগ্রামের মাঝারি সংগ্রহের জবাব দিতে নেমে ২ উইকেটে ১১৫ রানে দিন শেষ করেছে বরিশাল। ওপেনার জাহিদুজ্জামানের সঙ্গে অপরাজিত আছেন সালমান হোসেন ইমন। ৪৭ রান করা সালমান অপরাজিত থেকেছেন। সেই সঙ্গে জাহিদুজ্জামান ১৩ রান করেছেন অপরাজিত আছেন। তারা চট্টগ্রামের চেয়ে এখনও ২৪৩ রানে পিছিয়ে আছে।