তামিমের ঝড়ের পর মুরাদ-নাঈমের বোলিংয়ে জিতল চট্টগ্রাম
ছবি: তামিমের আরেকটি দারুণ শট, ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি
সিলেটর আউটার মাঠে আলোক সল্পতার কারণে ১৫ ওভারে নেমে আসা এই ম্যাচে তিনটি বিশাল ছক্কার সঙ্গে আটটি চারে, ১৯৬ স্ট্রাইক রেটে ঝড় তোলেন তামিম। আগের ম্যাচে ৮ বলে ৭ রান করে ফিরলেও এ দিন স্বরূপে ফেরেন তিনি। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে এবাদতকে চার হাঁকিয়ে যাত্রা শুরু করেন তিনি।
সিলেটের দুই পেসার এবাদত এবং আবু জায়েদ রাহির বোলিংয়ের বিপক্ষে দ্রুত রান তুলে ১৬ বলে করেন ৩০। পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলে ডাউন দ্যা উইকেটে এসে নাইম আহমেদকে হাঁকান তার 'ট্রেডমার্ক' ছক্কা। লং অনের ওপর দিয়ে বল সীমানার বাইরে।
২৭ বলে মাহফুজুর রাব্বিকে চার হাঁকিয়ে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম। পরের বলে আবারও ডাউন দ্যা উইকেটে এসে ছক্কা। হাফ সেঞ্চুরির পর অবশ্য বেশীক্ষণ উইকেটে থাকেননি তামিম। তোফায়েল আহমেদকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন তিনি।
১০.২ ওভারে তামিম যখন ফিরে যান তখন চট্টগ্রামের রান ১০৬। এরপর অবশ্য দ্রুতগতিতে উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। ১৫ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৫ রান তোলে দলটি। দলটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ আসে ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়ের ব্যাটে। ১৭ বলে ২৯ রান করেন তিনি। সিলেটের হয়ে তিন ওভারে ১৯ রান খরচায় চারটি উইকেট নেন খালেদ আহমেদ।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে হাসান মুরাদ ও নাঈম হাসানদের দাপটে শুরু থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় সিলেট। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান জিসান আলম এ দিন প্রথম বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান।
সাদা পোশাকের এনসিএলে দারুণ সময় কাটানো অমিত হাসানকেও শূন্য রানে প্রথম ওভারেই ফেরান হাসান মুরাদ। ১৪.২ ওভারে ১৩৩ রানে অলআউট হয় দলটি। একপাশ থেকে তৌফিক খান তুষার লড়াই চালিয়ে গেলেও তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি কেউই।
৩৬ বলে সাতটি চার ও ছয়টি ছক্কায় ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন তৌফিক। এ ছাড়া উল্লেখযোগ্য ইনিংস নেই কারো। চট্টগ্রামের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন হাসান মুরাদ ও নাঈম। দুটি উইকেট নেন আহমেদ শরিফ।