মেলবোর্নের ঘাস থাকা উইকেটে শুরু থেকেই অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটাররা কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়েন। ইংল্যান্ডের পেসাররা লাইন–লেংথে ধারাবাহিক ছিলেন, বিশেষ করে জশ টাং। এই উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের জন্যও যে চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে, প্রথম ইনিংসই তার ইঙ্গিত দিয়ে গেছে।
জশ টাং ৪৫ রানে নেন পাঁচ উইকেট। তার শিকার হন জ্যাক ওয়েদারাল্ড, মার্নাস ল্যাবুশেন, স্টিভ স্মিথ, মাইকেল নেসার ও স্কট বোল্যান্ড। স্মিথের বিপক্ষে টাংয়ের রেকর্ড চোখে পড়ার মতো। এখন পর্যন্ত পাঁচ ইনিংসে বোলিং করে পাঁচবারই তাঁকে আউট করেছেন এই পেসার।
ইনিংসের শুরু থেকেই অস্ট্রেলিয়াকে চাপে রাখেন ইংলিশ পেসাররা। দলীয় ২৭ রানে ট্রাভিস হেড আউট হন গাস অ্যাটকিনসনের বলে। এরপর ৩১ রানে ওয়েদারাল্ড ও ৩৪ রানে লাবুশেনকে ফেরান টাং, যা দ্রুতই অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডারকে চাপে ফেলে।
ছয় রান করা ল্যাবুশেনের টেস্টে সর্বশেষ সেঞ্চুরি এসেছে ৩৭ ইনিংস আগে। স্মিথও ইনিংস বড় করতে পারেননি, ৯ রানে আউট হন টাংয়ের বলে। ওপেনার থেকে মিডল অর্ডারে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় থাকা উসমান খাওয়াজা করেন ২৯ রান।
লাঞ্চের পর তাঁকে আউট করেন অ্যাটকিনসন। ২০২৩-২৪ মৌসুম শুরুর পর থেকে ডানহাতি পেসারদের ‘অ্যারাউন্ড দ্য উইকেট’ বলেই এটি খাওয়াজার ২০তম আউট। তবে এই ইনিংসেই তিনি টেস্টে আট হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন।
৯১ রানে ছয় উইকেট হারানোর পর সপ্তম উইকেটে ৪৫ রানের জুটি গড়ে অস্ট্রেলিয়া। মাইকেল নেসার ও ক্যামেরন গ্রিন কিছুটা স্থিরতা আনেন। তবে গ্রিন ১৭ রান করে ব্রাইডন কার্সের সরাসরি থ্রোতে রানআউট হন। নেসার ৩৫ রান করে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ স্কোরার, আর অ্যালেক্স ক্যারি আউট হন ২০ রানে, বেন স্টোকসের বলে।