চার বছর পর গত জুলাইয়ে টেস্ট ক্রিকেটে ফেরা ৩০ বছর বয়সী আর্চার এই সিরিজে ইংল্যান্ডের সবচেয়ে উজ্জ্বল পারফর্মার ছিলেন। তিন ম্যাচ শেষে ৩–০ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা দলে সীমিত সাফল্যের ভেতর তার পারফরম্যান্সই ছিল উল্লেখযোগ্য। তবে চোটের কারণে এবার সিরিজ শেষ করতে পারলেন না ডানহাতি এই পেসার।
ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস আর্চারের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করে বলেন, 'এই তিন ম্যাচে ও যে পরিশ্রম করেছে, সেটা ছিল অসাধারণ। অস্ট্রেলিয়ায় আসার আগে ওর সক্ষমতা নিয়ে অনেক প্রশ্ন ছিল, কিন্তু দলের জন্য সে দারুণ চেষ্টা করেছে।'
অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসে ৫৩ রান খরচায় পাঁচ উইকেট নেন আর্চার। সেই ম্যাচে তিনি টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরিও করেন। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১২.৪ ওভার বোলিং করতে পারেন তিনি। মেলবোর্নে করা স্ক্যানে ধরা পড়ে সাইড ইনজুরির বিষয়টি।
চোটের কারণে আর্চারকে চতুর্থ টেস্টের পর যুক্তরাজ্যে ফিরে পুনর্বাসনের জন্য পাঠানো হবে। এরপর ফেব্রুয়ারিতে ভারত ও শ্রীলঙ্কায় শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার খেলার সম্ভাবনা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আর্চারের জায়গায় দলে এসেছেন গাস অ্যাটকিনসন, আর ওলি পোপ বাদ পড়ে সুযোগ পেয়েছেন জ্যাকব বেথেল।
চতুর্থ অ্যাশেজ টেস্টের জন্য ইংল্যান্ড একাদশ: জ্যাক ক্রলি, বেন ডাকেট, জ্যাকব বেথেল, জো রুট, হ্যারি ব্রুক, বেন স্টোকস (অধিনায়ক), জেমি স্মিথ, উইল জ্যাকস, গাস অ্যাটকিনসন, ব্রাইডন কার্স, জশ টাং।