ছোটো লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ২ রান করে ফেরেন শাহিবজাদা ফারহান। এরপর তানজিদ হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্ত মিলে রাজশাহীর হাল ধরেন। দুজনে গড়েন ৬৫ রানের জুটি। এক সময় মনে হচ্ছিল এই দুজনই জিতিয়ে মাঠ ছাড়বেন।
তবে সেটা হয়নি। শান্ত ২০ বলে ২৪ রান করে ফিরলে রাজশাহীর ব্যাটারদের আসা যাওয়া শুরু হয়। তানজিদ ভালো শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তিনি ২০ বলে ২৯ করেই ফেরেন। এরপর হোসাইন তালাত মাত্র ৩ রান করে আউট হয়ে যান।
এরপর রাজশাহীর আর কোনো বিপদ হতে দেননি অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ও ইয়াসির আলী। দুজনে মিলিয়ে রাজশাহীকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। মুশফিক ৩০ বলে ২৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। অন্যদিকে ইয়াসির ২৩ রান নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন ২৬ বলে। নোয়াখালীর হয়ে একাই ২ উইকেট নেন পেসার হাসান মাহমুদ। আর একটি করে উইকেট নেন রেজাউর রহমান রাজা ও জহির খান।
এই ম্যাচে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি নোয়াখালী। তারা দলীয় ১৮ রানেই হারায় হাবিবুর রহমান সোহানের উইকেট। ইনিংসে দ্বিতীয় ওভারে বিনুরা ফার্নান্দোর বলে তাঁরই হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ৬ বলে ৫ রান করে। তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি সাব্বিরও। ১১ বলে ৬ রান করে রিপন মণ্ডলের বলে আউট হয়েছেন।
এই দুজনের বিদায়ের পরও একপ্রান্ত আগলে রাখার চেষ্টা করেছিলেন মাজ সাদাকাত। যদিও তাকে ইনিংস বড় করতে দেননি তালাত। ডানহাতি মিডিয়াম পেসারের বলে শান্তর হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ১৯ বলে ২৫ রান করা সাদাকাত। দ্রুতই তিন উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে নোয়াখালী।
চাপের মুখে একটু পর ২৭ বলে ২২ রান করে ফিরে গেছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। রানের দেখা পাননি জাকের আলী অনিক। তানজিম সাকিবের বলে ফেরার আগে মাত্র ৬ রান করেছেন তিনি। আশা জাগালেও ২৮ বলে ৩৩ রানের বেশি করতে পারেননি ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হায়দার আলী। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত ১২৪ রানের পুঁজি পেয়েছে নোয়াখালী। রাজশাহীর হয়ে বল হাতে আলো ছড়িয়েছে ৪ ওভারে ১৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন রিপন।