‘মুস্তাফিজের পারফরম্যান্স প্রমাণ করে আমাদের খেলোয়াড়রা আন্তর্জাতিক মানের’

আইএল টি-টোয়েন্টি
দুবাই ক্যাপিটালস
দুবাই ক্যাপিটালস
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
২১ ডিসেম্বর বিকেলের ম্যাচে গালফ জায়ান্টসের বিপক্ষে লড়াইয়ে চার বলের মধ্যে তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচের মোড়ই ঘুরিয়ে দেন মুস্তাফিজুর রহমান। দুর্দান্ত বোলিং পারফরম্যান্সে দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কারও। রাতের ম্যাচে চার ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে সাকিব আল হাসান নিয়েছেন ২ উইকেট। পরবর্তীতে ব্যাটিংয়ে করেছেন অপরাজিত ১৭ রান। এমআই এমিরেটসকে জিতিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন সাকিবও। ইন্টার‌ন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টিতে মুস্তাফিজ-সাকিবদের পারফরম্যান্সে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) স্তুতি। নাজমুল আবেদিন ফাহিম জানালেন, মুস্তাফিজদের পারফরম্যান্সই প্রমাণ করে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা আন্তর্জাতিক মানের।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইএল টি-টোয়েন্টিতে বল হাতে নিয়মিতই আলো ছড়াচ্ছেন মুস্তাফিজ। দুবাইয়ের হয়ে এখনো পর্যন্ত ৭ ম্যাচে নিয়েছেন ১৪ উইকেট। বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসারের চেয়ে বেশি উইকেট আছে কেবল আফগানিস্তানের ওয়াকার সালামখিলের (১৫ উইকেট)। বেশিরভাগ ম্যাচেই স্লোয়ার, কাটারের জাদুতে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের বোকা বানিয়েছেন মুস্তাফিজ। বাঁহাতি পেসারের পাশাপাশি আইএল টি-টোয়েন্টিতে খেলছেন বাংলাদেশের আরও দুই ক্রিকেটার।

শারজাহ ওয়ারিয়র্সের জার্সিতে প্রথমবার আইএল টি-টোয়েন্টি খেলছেন তাসকিন আহমেদ। এখনো পর্যন্ত ৪ ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ৬ উইকেট। দুবাইয়ের বিপক্ষে তিনটি এবং ডেজার্ট ভাইপার্সের সঙ্গে ২০ রানে নেয়া ২ উইকেট ডানহাতি পেসারের উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স। তিন ম্যাচে দুই উইকেট নেয়ার পাশাপাশি ৩৩ রান করেছেন সাকিব। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সে খুশি হলেও দেশের ভেতর ওই মানের ক্রিকেট আয়োজন করতে না পারার আক্ষেপ করেছেন ফাহিম।

বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসজেএ) আয়োজনে রংপুর রাইডার্স-বিএসজেএ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল শেষে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, ‘ভালো লাগার ব্যাপার তো আছেই, দুঃখজনক হলেও আমাদের খেলোয়াড়দের জন্য দেশের ভেতর যে মানের ক্রিকেট আয়োজন করা প্রয়োজন, সেই মানের ক্রিকেট আমরা কিন্ত আয়োজন করতে পারি না। এজন্যই কিন্তু কিছুটা নির্ভরশীলতা বাইরে বড় বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টগুলোর উপরে এবং সেখানে যখন ওরা ভালো করে তখন আমরা বুঝতে পারি আমাদেরও খেলোয়াড় আছে তারা সত্যিকার অর্থেই আন্তর্জাতিক মানের।’

সবশেষ কয়েক বছরে বাংলাদেশকে ম্যাচ জেতাতে বড় ভূমিকা রাখছেন পেসাররা। তাসকিন-মুস্তাফিজদের হাত ধরে বাংলাদেশে রীতিমতো পেস বিপ্লব ঘটে গেছে। তাদের বাইরে পেসার হিসেবে জাতীয় দলে খেলছেন নাহিদ রানা, তানজিম হাসান সাকিব, শরিফুল ইসলাম, ইবাদত হোসেন, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, হাসান মাহমুদরা। ঘরোয়া ক্রিকেটেও আছেন একঝাঁক পেসার। তারা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে সুযোগ না পেলেও তাদের সামর্থ্য আছে বলে জানান ফাহিম। সেই সঙ্গে অন্যান্য পেসারদের মুস্তাফিজের চেয়ে খুব বেশি পিছিয়ে রাখতে চান না।

এ প্রসঙ্গে ফাহিম বলেন, ‘মুস্তাফিজ যদি ভালো করে তখন কিন্ত আমরা বুঝতে পারি মুস্তাফিজের সাথে বোলার যারা আছে বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলে তারা কিন্তু মুস্তাফিজের থেকে খুব বেশি পিছিয়ে নেই। আমি যদি তানজিম সাকিবের কথা বলি... মুস্তাফিজকে যদি আমি ১০-এর মধ্যে ১০ দিই, তাহলে তানজিম সাকিবকে সাড়ে আট বা নয়-এর কম দিতে পারব না কিন্তু।’

‘তখন আমি তুলনা করতে পারি শুধু মুস্তাফিজই না প্রকৃত অর্থে হাতে কিন্তু আরও ৪-৫ জন বোলার আছে যারা প্রায় সমমানের। হয়ত ওরা সুযোগ পায়নি ফ্র্যাঞ্চাইজিতে এজন্য হয়ত সবাই তাদের ওইভাবে মূল্যায়ন করবে না। ভবিষ্যতে ওরা হয়ত ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলবে কিন্তু আমরা জানি আমাদের এটা আছে। এটা একটা ইতিবাচক দিক।’

আরো পড়ুন: