তৃতীয় ম্যাচে এসে অবশ্য নিজেকে ফিরে পান সাকিব। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ডেজার্ট ভাইপার্সের বিপক্ষে ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন তিনি। মুম্বাইয়ের হয়ে সেভাবে খেলার সুযোগ না পেলেও বেশ আনন্দিত তিনি।
ম্যাচসেরা হয়ে সাকিব বলেন, 'প্রথমত আমি এমআই এমিরেটসকে ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাকে এই সুযোগ দেওয়ার জন্য। দলে সুযোগ পাওয়া অনেক কঠিন কারণ এটি একটি তারকাখচিত দল। তাই কয়েকটি ম্যাচ খেলতে পেরে আমি খুশি।'
'এটি (টুর্নামেন্টের) চতুর্থ বছর, তবে খেলার দিক থেকে এই টুর্নামেন্টে এটি আমার প্রথম বছর। আমার মনে হয় এর অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। এখানে অবশ্যই ভিন্ন ভিন্ন চ্যালেঞ্জ আছে, অনেক বেশি আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় আছে তাই আমার মনে হয় এটি বেশ কঠিন (দলে জায়গা পাওয়া)।
সাকিবের করা ২৪ বলের মধ্যে ১২টিই ছিল ডট বল, কোনো চার বা ছক্কা হজম করেননি। সপ্তম ওভারে বোলিংয়ে এসে নিজের প্রথম ওভারেই সাফল্য পান সাকিব। ওভারের শেষ বলে স্টাম্পিংয়ের মাধ্যমে আইএল টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম উইকেট নেন তিনি। ওই ওভারে দেন পাঁচ রান। পরের ওভারেই ফেরান আরেক ব্যাটারকে।
নবম ওভারে স্যাম কারানের ফিরতি ক্যাচ নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটটি নিশ্চিত করেন সাকিব। ওই ওভারে তিনি দেন মাত্র তিন রান। ১১তম ও ১৫তম ওভারে নিজের বাকি দুই ওভারেও সমান তিন রান করে দেন, ফলে ভাইপার্সের ইনিংসে রান তোলার গতি কমে যায়।
সাকিবের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের কারণে ডেজার্ট ভাইপার্স সাত উইকেট হারিয়ে তোলে ১২৪ রান। জবাবে এমআই এমিরেটস ছয় উইকেট হারালেও ১৫ বল হাতে রেখেই লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে। দলের চার উইকেটের জয়ে সাকিব ব্যাট হাতে করেন ২৫ বলে অপরাজিত ১৭ রান।