৯০০ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বেশ কিছু বিষয় সামনে এনেছে স্বাধীন তদন্ত কমিটি। বিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিজেদের পর্যবেক্ষণ শেষে বিপিএলের দুর্নীতিগ্রস্ত কার্যপ্রণালি ও পরিচালনাগত ত্রুটি তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে এসব সংস্কারের জন্য বিস্তৃত রোডম্যাপ নির্ধারণ করা হয়েছে।
আইনি প্রস্তাবের পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক পুনর্গঠন, ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর নিয়ম মেনে চলার ব্যবস্থা, খেলোয়াড়দের সুরক্ষা বাড়ানো, ঝুঁকি পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সবার জন্য যোগাযোগা কাঠামো আরও শক্তিশালী করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। চলমান প্রক্রিয়ায় নির্দিষ্ট কোনো অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্য করবে না বিসিবি। এ ছাড়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের কোনো তথ্য প্রকাশ করবে না দেশের ক্রিকেট বোর্ড।
স্বাধীন তদন্ত কমিটির সুপারিশগুলো বিসিবি বিবেচনায় নেবে এবং আইসিসির দুর্নীতি দমনের নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট ওই কর্তৃপক্ষ এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথে সমন্বয় করে প্রয়োজনে আরও তদন্ত করবে। ক্রিকেটকে সুরক্ষার স্বার্থে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ইন্টিগ্রিটি ইউনিট (বিসিবিআইইউ) স্বাধীন ইন্টিগ্রিটি ইউনিট প্রতিষ্ঠা করেছে বিসিবি। যার নেতৃত্ব থাকবেন একজন স্বাধীন চেয়ারম্যান।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিপিএলের গত আসরের মোট ৩৬টি ঘটনাকে সন্দেহজনক হিসেবে চিহিৃত করেছে তদন্ত কমিটি। যেখানে ১২ জন ক্রিকেটারের নাম এসেছে। যদিও এখনো পর্যন্ত তাদের নাম প্রকাশ করেনি বিসিবি। ক্রিকেটারদের বাইরেও বেশ কয়েকজনের নাম আছে সেই তদন্ত প্রতিবেদনে। আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে কিনা সেটা এখনো নিশ্চিত নয়।