দুজনই প্রাপ্য সুযোগকে সেঞ্চুরিতে রূপ দেন। যদিও তারা ভারতের ওয়ানডে দলে নিয়মিত নন। রায়পুরে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে রুতুরাজ করেন ৮৩ বলে ১০৫, আর সিরিজ নির্ধারনী তৃতীয় ম্যাচে অপরাজিত ১১৬ রান করে ম্যাচসেরা হন জয়সাওয়াল।
শুভমান গিল ও শ্রেয়াস আইয়ার ইনজুরিতে বাইরে থাকায় এই দুজন সুযোগ পান। পারফরম্যান্স দিয়েই নির্বাচকসহ টিম ম্যানেজমেন্টের মন জয় করেন তারা। তবে ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে তাদের বিবেচনা করা হবে কি না, এই প্রশ্নের উত্তর এখনই দিতে নারাজ প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর।
তিনি বলেন, 'দেখুন, আমাদের বুঝতে হবে যে ওয়ানডে বিশ্বকাপ এখনো দুই বছর দূরে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো বর্তমানকে গুরুত্ব দেয়া। তরুণ খেলোয়াড়রা সুযোগ পেলে সেটি কাজে লাগাচ্ছে, এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।'
'রুতুরাজকে পজিশনের বাইরে ব্যাট করতে হয়েছিল, কিন্তু আমরা জানি সে মানসম্মত খেলোয়াড়। ভারত ‘এ’-তে ওর ফর্ম দেখে এই সিরিজে সুযোগ দেয়া হয়েছিল। চাপের মধ্যে দ্বিতীয় ম্যাচে যে সেঞ্চুরি করেছে, সেটা ছিল সত্যিকারের কোয়ালিটি।'
জয়সাওয়ালের প্রশংসা করে গম্ভীর বলেন, 'ইয়াশভিও দারুণ প্রতিভাবান। টেস্ট ক্রিকেটে যা করেছে আমরা দেখেছি। সাদা বলেও এটা তার শুরু। আশা করি সামনে তার বিশাল ভবিষ্যৎ আছে, রুতুরাজের মতোই।'
ভারত সিরিজটি শুরু করেছিল ১৭ রানের জয় দিয়ে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে সাউথ আফ্রিকা চার উইকেটে জিতে সিরিজ সমতায় ফিরেছিল। ফলে বিশাখাপত্তনমে তৃতীয় ম্যাচ হয়ে ওঠে সিরিজ নির্ধারনী।
শেষ ম্যাচে আর কোনো সুযোগ দেয়নি লোকেশ রাহুলের নেতৃত্বাধীন ভারত। ২৭১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩৯.৫ ওভারেই ৯ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় তারা।