স্টার্কে কুপোকাত ইংল্যান্ড, চালকের আসনে অস্ট্রেলিয়া

অ্যাশেজ
স্টার্কে কুপোকাত ইংল্যান্ড, চালকের আসনে অস্ট্রেলিয়া
এএফপি
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
গোলাপি বল হাতে পেলেই যেন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেন মিচেল স্টার্ক! ব্রিসবেন টেস্টেও ব্যতিক্রম হয়নি একটুও। বেন ডাকেট, ওলি পোপ কিংবা হ্যারি ব্রুকরা কেউই জবাব দিতে পারলেন না বাঁহাতি পেসারের বোলিংয়ের। ৭৫ রানে ফেরালেন ইংল্যান্ডের ৬ ব্যাটারকে। ব্রিসবেন শুধু বোলিংয়ে আগুন ঝরিয়েই থেমে যাননি তিনি। প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে খেলেছেন ১৪১ বলে ৭৭ রানের ইনিংস। অস্ট্রেলিয়ার লিডও তাই দেড়শ ছাড়িয়ে যায় অনায়াসে।

তৃতীয় দিনের তৃতীয় সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে আবারও দুমড়-মুচড়ে যায় সফরকারীদের ব্যাটিং অর্ডার। ডাকেট, পোপ, ব্রুক কিংবা রুট—দাঁড়াতে পারেননি কেউই। ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৬ উইকেটে ১৩৪ রান নিয়ে দিন শেষ করেছে সফরকারীরা। ইনিংস হার এড়াতে এখনো ৪৩ রান করতে হবে বেন স্টোকস ও উইল জ্যাকসদের। প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নেয়া স্টার্ক দ্বিতীয় ইনিংসেও নিয়েছেন ২ উইকেট। বাঁহাতি পেসারের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে কুপোকাত ইংল্যান্ড। ফলে তৃতীয় দিন শেষেই জয়ের সুবাস পাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া।

ব্রিসবেনে অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে ১৭৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরুর আভাস দিয়েছিলেন বেন ডাকেট ও জ্যাক ক্রলি। ডিনারে যাওয়ার আগে বিনা উইকেটে ৬ ওভারে ৪৫ রান তোলেন তারা দুজন। ডিনার থেকে ফিরে দ্বিতীয় ওভারেই জুটি ভাঙেন বোল্যান্ড। ডানহাতি পেসারের নিচু হওয়া গুড লেংথ ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন ১৫ রান করা ডাকেট। দ্বিতীয় উইকেটে ক্রলির সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টা করলেও সেটা খুব বেশি কাজে দেয়নি।

৩২ বলে ২৬ রান করে মাইকেল নেসারের বলে তাঁরই হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ওলি পোপ। ইংল্যান্ডের রান একশ হওয়ার আগে আউট হয়েছেন ক্রলিও। প্রথম ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি করা ডানহাতি ওপেনার ৪৪ রানে আউট হয়েছেন নেসারের বলে। ভালো শুরু করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি জো রুট। প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান ফিরেছেন ৩৬ বলে ১৫ রান করে। যদিও শুরুতে তাকে আম্পায়ার আউট দেননি। পরবর্তীতে রিভিউ নিলে দেখা যায় বল ক্যারির গ্লাভসে যাওয়ার আগে রুটের ব্যাট ছুঁয়ে গেছে।

প্রায় একইভাবে আউট হয়েছেন হ্যারি ব্রুকও। বোল্যান্ডের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে আউট সাইড এজ হয়ে ক্যারিকে ক্যাচ দিয়েছেন ২১ বলে ১৫ রান করা এই ব্যাটার। স্টার্কের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন জেমি স্মিথ। শেষ বিকেলের বাকিটা সময় কাটিয়ে দিয়েছেন জ্যাকস ও স্টোকস। তৃতীয় দিন শেষে ৬ উইকেটে ১৩৪ রান তুলেছে ইংল্যান্ড। এখনো অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে ৪৩ রানে পিছিয়ে সফরকারীরা। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন বোল্যান্ড, নেসার ও স্টার্ক।

আগের দিনের ৬ উইকেটে ৩৭৮ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামেন অ্যালেক্স ক্যারি ও নেসার। দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকেলে ভালো করলেও তৃতীয় দিন খুব বেশিক্ষণ টেকেনি তাদের জুটি। প্রথম সেশনের তৃতীয় ওভারে তাদের ৫৪ রানের জুটি ভাঙেন স্টোকস। ইংলিশ অধিনায়কের ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারিতে উইকেটের পেছনে স্মিথের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ১৬ রান করা নেসার। অষ্টম উইকেট অস্ট্রেলিয়াকে এগিয়ে নিতে থাকেন ক্যারি ও স্টার্ক।

প্রথম সেশনেই তাদের ৩৩ রানের জুটি ভেঙেছেন গাস অ্যাটকিনসন। ডানহাতি পেসারের লেংথ ডেলিভারিতে কাট করতে গিয়ে স্মিথকে ক্যাচ দিয়েছেন ৬৩ রান করা ক্যারি। প্রথম সেশনে ২ উইকেট হারিয়ে ৭২ রান তোলো স্বাগতিকরা। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ইংল্যান্ডের হতাশা বাড়িয়েছে স্টার্ক-বোল্যান্ড জুটি। ১০০ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন স্টার্ক।

তাদের দুজনের ১৬৫ বলে ৭৫ রানের জুটি ভেঙেছেন ব্রাইডন কার্স। মিড অফের উপর দিয়ে খেলার চেষ্টায় ৭৭ রানে স্টোকসের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। শেষ জুটিতে বোল্যান্ড ও ডগেট ২০ রান যোগ করেন। ৭২ বলে ২১ রান করে অপরাজিত ছিলেন বোল্যান্ড। তাতেই প্রথম ইনিংসে ১৭৭ রানের লিড পায় অস্ট্রেলিয়া। ইংলিশদের হয়ে কার্স চারটি ও স্টোকস তিনটি উইকেট নিয়েছেন।

আরো পড়ুন: অ্যাশেজ