চলতি বছরের জুলাইয়ের পর থেকে টেস্ট খেলা হয়নি স্মিথের। তবে পুরো বছর জুড়ে ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে আছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ২০২৫ সালে খেলা ৬ টেস্টে ৫১.৫০ গড়ে ৫১৫ রান করেছেন তিনি। দুইটি হাফ সেঞ্চুরির পাশাপাশি দুইটি সেঞ্চুরিও করেছেন স্মিথ। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পাওয়া চোটের কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ছিলেন না তিনি।
পরের দুই ম্যাচের ৪ ইনিংসে খেলে ৩১.৭৫ গড়ে করেছিলেন ১২৭ রান। যেখানে একটি ইনিংসে ৭১ রানও করেছিলেন তিনি। অ্যাশেজের আগে অবশ্য নিজেকে ভালোভাবেই প্রস্তুত করছেন স্মিথ। শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচ দিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরেছেন তিনি। গ্যাবাতে কুইন্সল্যান্ডের বিপক্ষে ১৭৬ বলে ১১৮ রানের ইনিংস খেলেছেন নিউ সাউথ ওয়েলসের এই ব্যাটার।
ওয়ার্নার মনে করেন, স্মিথ রান পেলে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে ইংল্যান্ড। ফক্স স্পোর্টসের সঙ্গে আলাপকালে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ওপেনার বলেন, ‘যদি স্মিথ বড় রান (চলতি গ্রীষ্মে) করতে পারে তাহলে তাদের (অস্ট্রেলিয়া) জন্য খুব ভালো ব্যাপার। স্মিথ যদি ছন্দ পায় এবং রান করতে শুরু করে তাহলে ইংল্যান্ডের জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং হতে যাচ্ছে।’
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সবচেয়ে বেশি টেস্ট সেঞ্চুরির মালিক এখন পন্টিং। অবসরের আগে অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে ১৬৮ টেস্ট খেলে ৪১ সেঞ্চুরি করেছেন। তালিকার দুইয়ে আছেন ১১৯ টেস্টে ৩৬ সেঞ্চুরি করা স্মিথ। আরও পাঁচটি সেঞ্চুরি করতে পারলে পন্টিংয়ের পাশে নাম লেখাবেন তিনি। যদি ছয়টা সেঞ্চুরি করেন তাহলে স্মিথ ছাড়িয়ে যাবেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ককে।
ওয়ার্নারের বিশ্বাস, আগামী অ্যাশেজেই সেটা করে ফেলবেন স্মিথ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় সে পাঁচটা সেঞ্চুরি পেয়ে যাবে। সে এমন একজন যে কিনা আগের দিন একটা (নেট সেশন) করে আজকে সেঞ্চুরি করেছে।’
আগামী ২১ নভেম্বর পার্থ টেস্ট দিয়ে মাঠে গড়াবে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। ৪ ডিসেম্বরে ব্রিজবেনে হবে দ্বিতীয় টেস্ট। অ্যাডিলেড, মেলবোর্ন ও সিডনিতে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম টেস্ট শুরু হবে ১৭ ডিসেম্বর, ২৬ ডিসেম্বর এবং ৪ জানুয়ারি। প্যাট কামিন্স চোটে পড়ায় অ্যাশেজের প্রথম ম্যাচে অজিদের নেতৃত্ব দেবেন স্মিথ।