ক্রাইস্টচার্চে জয়ের জন্য ২৩৭ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে নিউজিল্যান্ড। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ফেরেন টিম রবিনসন। একই ওভারে ব্রাইডন কার্সের বলে আউট হয়েছেন রাচিন রবীন্দ্রও। এক ওভারে দুই উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন টিম সেইফার্ট ও মার্ক চ্যাপম্যান। যদিও দুজনের কেউই প্রত্যাশিতভাবে রান করতে পারেননি। চ্যাপম্যানের বিদায়ে ভাঙে জুটি।
লিয়াম ডওসনের বলে জর্ডান কক্সের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ২৪ বলে ২৮ রান করা চ্যাপম্যান। কিউইদের রান একশ ছোঁয়ার আগে আউট হয়েছেন সেইফার্টও। লেগ স্পিনার বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে কক্সের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ২৯ বলে ৩৯ রান করে। দ্রুতই ফিরেছেন মাইকেল ব্রেসওয়েলও। স্পিনার ডওসনের বলে ক্যাচ দিয়েছেন টম ব্যান্টনের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ৯৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলায় চাপ বাড়তে থাকে নিউজিল্যান্ডের।
সেই চাপ সামাল দিতে পারেননি ড্যারিল মিচেলও। ৮ বলে ৯ রান করে রশিদের বলে ক্যাচ দিয়েছেন সল্টের হাতে। পরবর্তীতে সমান তিনটি করে ছক্কা ও চারে ১৫ বলে ৩৬ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন মিচেল স্যান্টনার। নিউজিল্যান্ড অধিনায়কের ইনিংস কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। কিউইদের ১৭১ রানে থামানোর দিনে একাই ৪ উইকেট নিয়েছেন রশিদ। দুইটি করে উইকেট পেয়েছেন কার্স, লুক উড এবং ডওসন।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ফেরেন বাটলার। জ্যাকব ডাফির বলে মিড অফের উপর দিয়ে খেলার চেষ্টায় স্যান্টনারের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। ডানহাতি এই উইকেটকিপার ব্যাটার আউট হয়েছেন মাত্র ৪ রানে। বাটলার ফিরলেও একই ধাঁচে রান তুলতে থাকেন সল্ট। তাকে দারুণভাবে সঙ্গ দেয়ার পাশাপাশি দ্রুত রান তুলেছেন জ্যাকব বেথেলও। স্পিনার ব্রেসওয়েলের বলে ফেরার আগে খেলেছেন ১২ বলে ২৪ রানের ইনিংস।
দুই উইকেট হারানোর পর ব্রুকের সঙ্গে জুটি গড়েন সল্ট। ৩৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া ডানহাতি ওপেনার সেঞ্চুরির পথেই হাঁটছিলেন। আরেক ব্যাটার ব্রুক ঝড় তুলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন মাত্র ২২ বলে। হাফ সেঞ্চুরির পরও থামেনি ব্রুকের ব্যাটিং তাণ্ডব। শেষ পর্যন্ত ডানহাতি ব্যাটারের ৩৫ বলে ৭৮ রানের ঝড় থামান কাইল জেমিসন। ডানহাতি পেসারের বলে রবিনসনকে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। একটু পর ৫৬ বলে ৮৫ রান করে আউট হয়েছেন সল্টও। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ২৩৬ রান তোলে ইংল্যান্ড।