বিশ্বের জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের গত আসরে মেগা নিলামে নাম দিলেও দল পাননি মুস্তাফিজ। তবে টুর্নামেন্টের শেষের দিকে এসে অস্ট্রেলিয়ার জেইক ফ্রেজার-ম্যাকগার্কের বদলি হিসেবে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন বাঁহাতি এই পেসার। তিন ম্যাচ খেলে বাংলাদেশের তারকা পেসার নিয়েছিলেন চার উইকেট। ২০২৪ সালে মুস্তাফিজ খেলেছিলেন চেন্নাইয়ের হয়ে।
সেই মৌসুমে ৯ ম্যাচে বাঁহাতি পেসার নিয়েছিলেন ১৪ উইকেট। সবমিলিয়ে এখনো পর্যন্ত ওভারপ্রতি ৮.১৩ রান দিয়ে ৬০ ম্যাচে ৬৫ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। ২০১৬ সালে আইপিএলে অভিষেক হওয়া মুস্তাফিজ খেলেছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, রাজস্থান রয়্যালস, চেন্নাই এবং দিল্লির হয়ে। ২০২৬ আইপিএলের জন্যও নিলামে নাম দিয়েছেন তিনি।
সর্বোচ্চ দুই কোটি রুপির ভিত্তিমূল্যের ক্যাটাগরিতে আছেন মুস্তাফিজ। সেই তালিকায় বাঁহাতি এই পেসার ছাড়াও আছেন আরও ৩৯ ক্রিকেটার। আগামী ১৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে আইপিএলের মিনি নিলাম। এর আগে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে মক নিলাম করে ক্রিকেটারদের দাম যাচাইয়ের চেষ্টা করেছেন অশ্বিন। যেখানে ১০ ফ্র্যাঞ্চাইজির নামে প্রতিনিধি রেখেছিলেন তিনি।
পেসারদের ক্যাটাগরিতে মুস্তাফিজের নাম তোলা হলে সবার প্রথমে আগ্রহ দেখায় টিম বেঙ্গালুরু। ২ কোটি রুপিতেই যখন বিক্রি হয়ে যাচ্ছিলেন তখন আগ্রহ প্রকাশ করে চেন্নাই। পরবর্তীতে দুই ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রতিনিধিরাই বাঁহাতি পেসারকে পেতে দাম বাড়াতে থাকেন। তবে ৩ কোটি ৫০ লাখ রুপিতে গিয়ে থামে বেঙ্গালুরু। চেন্নাই আর আগ্রহ না দেখানোয় বেঙ্গালুরু তাকে কিনে নেয়।
মক নিলামে কিনলেও আইপিএলের সত্যিকারের মিনি নিলামে বিক্রি হবেন কিনা সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ের পারফরম্যান্স, আইএল টি-টোয়েন্টিতে দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে ছন্দে থাকা বাংলাদেশি সমর্থকদের আশাবাদী করতেই পারে। মুস্তাফিজ ছাড়াও নিলামে নাম দিয়েছেন তাসকিন আহমেদ, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিব, শরিফুল ইসলাম, রাকিবুল হাসান ও নাহিদ রানা।