বিপিএলে বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি দিচ্ছে না বিসিবি

ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ
বিপিএলে বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি দিচ্ছে না বিসিবি
বিপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
‘সবার জন্য উন্মুক্ত....। ক্রাইটেরিয়া পূরণ করলে, আমাদের সরকারের নীতিমালা সব কিছু ঠিক থাকলে তারা (বিদেশি ফ্র‍্যাঞ্চাইজি) দল নিতে পারবে।’ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সুযোগ থাকবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সবশেষ জুনে এমনটা বলেছিলেন ইফতেখার রহমান মিঠু। কয়েক মাসের ব্যবধানে সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

১১ অক্টোবর (শনিবার) সন্ধ্যায় বিপিএলে দল নিতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এক্সপ্রেশন্স অব ইন্টারেস্ট আহবান করেছে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। যেখানে দেশের ১০টি অঞ্চলের নামে ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা নেয়ার সুযোগ থাকবে প্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে। সময় স্বল্পতার কারণে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানদের মধ্য থেকে ক্রাইটেরিয়া পূরণ করতে পারে কিংবা পারবে এমন পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা দেবে বিসিবি।

যদিও সেখানে বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানের বিপিএলে অংশ নেয়ার সুযোগ নেই। বিসিবির একটি সূত্র ক্রিকফ্রেঞ্জিকে নিশ্চিত করেছে। এ ছাড়া সিলেটে জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টির ফাইনালের সময় ফারুক আহমেদও সেটার ইঙ্গিত দিয়েছেন। বিপিএলে বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি দেয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বিসিবির সহ-সভাপতি বলেন, ‘এটা মনে হয় এবারও ছাড়ে নাই।’

সবশেষ কয়েক বছরে বিপিএলে বেশ কিছু বিষয় বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। কখনো উইকেট সমস্যা, কখনো টুর্নামেন্টের ব্যবস্থাপনা, ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক ইস্যুসহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। একটা সময় বিপিএলে বিশ্বের তারকা ক্রিকেটাররা খেলে গেলেও এখন সেটার মান একেবারে পড়তির দিকে। যারা নিজেদের দেশের লিগে কিংবা জাতীয় দলে সুযোগ পায় না তারাই বিপিএলে খেলতে আসে।

দু-একজন তারকা ক্রিকেটার পাওয়া গেলেও তারা কেবলই হাতেগোনা কয়েকটি ম্যাচ খেলতে আসেন। আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে হতে যাওয়া বিপিএলেও এমন চিত্র দেখা যেতে পারে। কারণ একই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে বিগ ব্যাশ, এসএ২০ ও আইএল টি-টোয়েন্টি। ফারুক মনে করেন, ভালো মানের বিদেশি ক্রিকেটার না পাওয়ার বড় কারণ সংযুক্ত আরব আমিরাতের টুর্নামেন্টের সঙ্গে সূচি সংঘর্ষ।

বিসিবির সহ-সভাপতি বলেন, ‘বিদেশি ক্রিকেটারের ব্যাপার বলতেই হয়। বিপিএল, বিসিবি চেষ্টা করছে...আমাদের সবচেয়ে বড় অসুবিধা হবে যদি আইএল টি-টোয়েন্টি যেটা দুবাইয়ে হয় ওইটার সাথে ক্ল্যাশ করলে। কারণ আপনি জানেন তাদের ৯ বিদেশি খেলোয়াড় খেলে। ওইটার সাথে যদি ক্ল্যাশ না করি তাহলে তো বেশি বিদেশি খেলোয়াড় পাওয়া যাবে।’

বিপিএলের বিদেশি ক্রিকেটার মানেই পাকিস্তানি। টুর্নামেন্টের সূচনালগ্ন থেকেই পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটাররা আধিপত্য বিস্তার করেছে। তবে আগামী আসরে নাও দেখা যেতে পারে ফাহিম আশরাফ, ইফতিখার আহমেদ, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ নাওয়াজদের মতো ক্রিকেটারদের। আইসিসি কিংবা এসিসি টুর্নামেন্টে ভালো করতে না পারায় পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের বিদেশি লিগ খেলার এনওসি দেবে না পিসিবি। এটা উদ্বেগের হলেও ফারুক জানান, অন্য দেশের খেলোয়াড়রা ওই জায়গাটা পূরণ করবে।

তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের যেটা এনওসির সমস্যা। আমি জানি কয়েকটা দলের এরকম হয়েছে। শ্রীলঙ্কা ঠিক কোন সময়ে আমি জানি না। তবে অবশ্যই এটা উদ্বেগের বিষয়। কিন্তু আমার মনে হয় আইএল টি-টোয়েন্টির সঙ্গে যদি ক্ল্যাশ না করে তাহলে হয়ত ওইটা পূরণ হবে। যদিও পাকিস্তানিরা আমাদের এখানে ডমিনেট করে সবসময় কিন্তু হয়তা সেটা অন্য দেশের খেলোয়াড়রা পূরণ করবে।’

আরো পড়ুন: বিপিএল