জ্যাকসের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে মুম্বাইয়ের জয়

ছবি: বিসিসিআই

ওয়াংখেড়েতে জয়ের জন্য ১৬২ রান তাড়ায় খানিকটা ধীরগতির ছিলেন রোহিত শর্মা ও রায়ান রিকেলটন। তবে ইনিংসের তৃতীয় ওভার থেকেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দেন রোহিত। ফলে দ্রুত রান তুলতে থাকে মুম্বাই। যদিও লম্বা সময় ধরে অফ ফর্মে থাকা ডানহাতি ওপেনার বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ভালো শুরু পেয়েও ফিরতে হয়েছে ১৬ বলে ২৬ রানে। প্যাট কামিন্সের অফ স্টাম্পের বাইরের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে ড্রাইভ করতে গিয়ে ট্রাভিস হেডকে ক্যাচ দিয়েছেন।
২ কোটি ২০ লাখ রুপিতে চেন্নাইয়ে ব্রেভিস
১৯ ঘন্টা আগে
আরেক ওপেনার রিকেলটন ছিলেন একেবারে সাবলীল। জ্যাকসকে সঙ্গে নিয়ে মুম্বাইয়ের রান বাড়াতে থাকেন তিনি। তাদের দুজনের জুটি ভাঙেন হার্শাল প্যাটেল। ডানহাতি পেসারের অফ কাটারে ইনসাইড আউট হয়ে খেলার চেষ্টায় হেডকে ক্যাচ দিয়েছেন ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে। সাউথ আফ্রিকান ওপেনারের ব্যাট থেকে এসেছে ৩১ রান। চারে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ছিলেন সূর্যকুমার যাদব।

হায়দরাবাদের বোলারদের বিপক্ষে নিজের সহজাত ব্যাটিংই করেছেন তিনি। ডানহাতি ব্যাটারের ক্যামিও ইনিংস থামিয়েছেন কামিন্স। হায়দরাবাদ অধিনায়কের গুড লেংথ ডেলিভারিতে মিড অফের উপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন সূর্যকুমার। তবে টাইমিংয়ে গড়বড় হওয়ায় মিড অফে জিসান আনসারীকে ক্যাচ দিয়েছেন ১৫ বলে ২৬ রান করা এই ব্যাটার। একটু পর আউট হয়েছেন জ্যাকসও।
কামিন্সের অফ স্টাম্পের অনেকটা বাইরের বলে মিড অফের উপর দিয়ে খেলার চেষ্টায় টাইমিং করতে না পেরে জিসানকে ক্যাচ দিয়েছেন। ইংলিশ ব্যাটার আউট হয়েছেন ৩৬ রানে। তিলক ভার্মা ও হার্দিক পান্ডিয়া মুম্বাইয়ের জয় নিশ্চিত করতে খুব বেশি সময় নিতে চাননি। যদিও যখন এক রান প্রয়োজন তখন ২১ রান করে ফিরে গেছেন হার্দিক। এসান মালিঙ্গার একই ওভারে আউট হয়েছেন নামান ধীর। তবে ১১ বল বাকি থাকতেই ৪ উইকেটের জয় পায় মুম্বাই। হায়দরাবাদের হয়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন কামিন্স।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে মুম্বাইয়ের ধীরগতির উইকেটে একটু দেখেশুনে খেলতে থাকেন হেড। তবে অন্য প্রান্তে নিজের সহজাত ব্যাটিং করার চেষ্টায় ছিলেন অভিষেক শর্মা। যদিও পুরো পাওয়ার প্লেতে একইভাবে ব্যাটিং করে যেতে পারেননি তিনি। তাদের দুজনের ৫৯ রানের জুটি ভাঙেন হার্দিক। ডানহাতি পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে কাট করতে গিয়ে আউট হয়েছেন ২৮ বলে ৪০ রানে।
হায়দরাবাদের হয়ে অভিষেকে সেঞ্চুরি করা ইশান কিশান ব্যাট হাতে রান পাচ্ছেন না বেশ কয়েকটি ম্যাচ ধরেই। নিজের চিরচেনা মাঠ ওয়াংখেড়ে আউট হয়েছেন ২ রানে। আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ের জন্য সুনাম থাকলেও হেড ফিরেছেন ২৯ বলে ২৮ রান করে। পরবর্তীতে নীতিশ রেড্ডির ১৯, হেনরিখ ক্লাসেনের ৩৭ ও অনিকেত ভার্মার ৮ বলে ১৮ রানের ক্যামিওতে ১৬২ রানের পুঁজি পায় হায়দরাবাদ। মুম্বাইয়ের হয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন জ্যাকসও।