ক্রুনাল-কোহলি ও সল্টে জিতে আইপিএল শুরু বেঙ্গালুরুর

ছবি: বিরাট কোহলি ও ফিল সল্টের হাফ সেঞ্চুরিতে জিতল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, বিসিসিআই

২৫ বলে পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি। এক প্রান্তে সল্ট যখন ঝড় তুলেছেন অন্যপ্রান্তে দেখেশুনে খেলতে থাকা বিরাট কোহলিও দ্রুত রান তোলায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরিও। তাদের দুজনের হাফ সেঞ্চুরির সঙ্গে শেষের দিকে অধিনায়ক রজত পাতিদারের ক্যামিওতে সহজেই জিতে গেছে বেঙ্গালুরু। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কলকাতাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে কোহলিদের শুরুটা হয়েছে দারুণভাবে।
ইডেনে ২০০ রানের বেশি না করলে জেতা যায় না: রাহানে
১৫ ঘন্টা আগে
জয়ের জন্য ১৭৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় বেঙ্গালুরুকে ঝড়ো শুরু এনে দেন সল্ট ও কোহলি। চার-ছক্কার বৃষ্টিতে পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৮০ রান তোলেন তারা দুজন। পাওয়ার প্লেতে কলকাতার বিপক্ষে বেঙ্গালুরুর এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। পরের ওভারে বরুণ চক্রবর্তীর বলে সিঙ্গেল নিয়ে ২৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন সল্ট। ইডেন গার্ডেন্সে সবশেষ ৮ ম্যাচের পাঁচটিতেই ছোঁয়া ইনিংস খেলেছেন তিনি। যদিও হাফ সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি সল্ট।
বরুণের লেগ ব্রেক ডেলিভারিতে আউট সাইড এজ হয়ে শর্ট থার্ডম্যানে থাকা স্পেন্সার জনসনকে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। সল্টের বিদায়ে ভাঙে কোহলির সঙ্গে ৯৫ রানের উদ্বোধনী জুটি। তিনে নেমে টিকতে পারেননি দেবদূত পাডিকাল। ডিপ মিড উইকেটের উপর দিয়ে খেলার চেষ্টায় রমনদীপ সিংয়ের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। একটু পর হার্শিত রানাকে চার মেরে পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন কোহলি। এ ছাড়া কলকাতার সঙ্গে ১ হাজার মাইলফলকও ছুঁয়েছেন তিনি।
ডেভিড ওয়ার্নার ও রোহিত শর্মার পর তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে কলকাতার বিপক্ষে ১ হাজারের বেশি রান করেছেন কোহলি। কলকাতার পাশাপাশি চেন্নাই সুপার কিংস, দিল্লি ক্যাপিটালস ও পাঞ্জাব কিংসের সঙ্গেও এমন কীর্তি আছে ডানহাতি ব্যাটারের। চারে নেমে রজত পাতিদার ১৬ বলে ৩৪ রান করে দ্রুতই খেলা শেষ করার চেষ্টা করেছেন। রজত আউট হলেও পরবর্তীতে ৫৯ রানে অপরাজিত থাকা কোহলি ও ৫ বলে ১৫ রান করা লিয়াম লিভিংস্টোন মিলে জয় নিশ্চিত করেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি কলকাতার। ইনিংসের প্রথম ওভারেই কুইন্টন ডি ককের উইকেট হারায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। জশ হেজেলউডের ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারিতে এজ হয়ে উইকেটের পেছনে জিতেশের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়েছেন সাউথ আফ্রিকান এই ওপেনার। আরেক ওপেনার নারিন খানিকটা চাপে থাকলেও তিনে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করতে থাকেন রাহানে।
অধিনায়কের ব্যাটে এগিয়ে যেতে থাকে কলকাতা। চার-ছক্কার বৃষ্টিতে মাত্র ২৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন রাহানে। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর ডানহাতি ব্যাটারের সঙ্গে রান তোলার গতি বাড়িয়ে দেন নারিনও। যদিও পঞ্চাশ ছোঁয়া হয়নি তার। রাসিক সালামের অফ স্টাম্পের বাইরের লাফিয়ে ওঠা ডেলিভারিতে আউট সাইড এজ হয়েছেন ২৬ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলা নারিন। বাঁহাতি ওপেনারের বিদায়ে ভাঙে রাহানের সঙ্গে ১০৩ রানের জুটি।
নারিন ফেরার একটু পর আউট হয়েছেন রাহানেও। ক্রুনাল পান্ডিয়ার বলে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে রাসিককে ক্যাচ দিয়েছেন ৩১ বলে ৫৬ রান করা কলকাতার অধিনায়ক। তাদের দুজনের বিদায়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে কলকাতা। রাসেল, রিংকু সিংরা ব্যর্থ হলেও রাঘুবংশী ৩০ রান করেছেন। ক্রুনাল, হেজেলউডদের আঁটসাঁট বোলিংয়ে ১৭৪ রানের বেশি করতে পারেনি তারা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
কলকাতা নাইট রাইডার্স- ১৭৪/৮ (২০ ওভার) (রাহানে ৫৬, নারিন ৪৪, রাঘুবংশী ৩০, ক্রুনাল ৩/২৯, হেজেলউড ২/২২)
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু- ১৭৭/৩ ১৬.২ ওভার) (কোহলি ৫৯*, সল্ট ৫৬, রজত ৩৪, লিভিংস্টোন ১৫*; নারিন ১/২৭)