একটা সময় তিন ফরম্যাটেই বাংলাদেশের অধিনায়ক ছিলেন শান্ত। তবে টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটার হিসেবে ছন্দ হারিয়ে ফেলায় তাকে সরিয়ে লিটন দাসকে অধিনায়কের দায়িত্ব দেয় বিসিবি। ওয়ানডে এবং টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে গত জুনে শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। তবে লঙ্কা দ্বীপের বিমান ধরার আগে ওয়ানডে থেকেও তাকে সরিয়ে দেয় বিসিবি। নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয় মেহেদী হাসান মিরাজকে।
মূলত তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়কের ভাবনা থেকেই শান্তকে সরিয়ে দেয় বিসিবি। তাদের এমন চিন্তা মনে ধরেনি তাঁর। যার ফলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিলেও দায়িত্ব ছাড়েন কলম্বো টেস্টের পরই। গুঞ্জন আছে অনেকটা ‘অভিমান’ থেকেই এমন সিদ্ধান্ত নেন শান্ত। যদিও তিনি তখন জানান, দলের স্বার্থেই নেতৃত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। শ্রীলঙ্কা সফরের পর আর কোনো টেস্ট ম্যাচ খেলেনি বিসিবি। যার ফলে নতুন অধিনায়ক নির্বাচনও করতে হয়নি।
চলতি মাসে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। সেই সিরিজের আগে টেস্ট অধিনায়ক বিবেচনায় বেশ কয়েক জনের সঙ্গে আলোচনা করেছে বিসিবি। তালিকায় ছিলেন লিটন ও মিরাজ। যদিও শেষ পর্যন্ত শান্তকে রাজি করিয়ে টেস্ট দলের নেতৃত্ব দেয়া হয়েছে। আয়ারল্যান্ড সিরিজ থেকেই দায়িত্ব বুঝে নেবেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
এ প্রসঙ্গে আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটের স্থিরতা, নিবেদন ও গভীর বোধের ছাপ রাখতে পেরেছে শান্ত। তার নেতৃত্বে আমরা দলের বেড়ে ওঠা ও বিশ্বাস দেখেছি। বোর্ডের মনে হয়েছে, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রে এগিয়ে যাওয়ার পথে নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা আমাদের জন্য সুফল বয়ে আনবে।’
আবারও দায়িত্ব নিয়ে শান্ত বলেন, ‘বাংলাদেশ টেস্ট দলের নেতৃত্বের দায়িত্ব পালন করে যেতে পারাটা আমার জন্য সত্যিই সম্মানের। আমার নেতৃত্বের প্রতি বোর্ড যে আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছে, তাতে আমি কৃতজ্ঞ। টেস্ট ক্রিকেটে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়া আমার জীবনের সবচেয়ে বড় গর্বের বিষয়। আমাকে যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, তার প্রতিদান দেয়ার জন্য আমি আমার সর্বোচ্চটা দেব।’
অধিনায়কত্ব ছাড়ার আগে বাংলাদেশকে ১৪ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শান্ত। যেখানে চার জয়ের বিপরীতে বাংলাদেশ হেরেছে ৯টি ম্যাচে। এ ছাড়া একটি ম্যাচ ড্র করেছে। শান্তর অধীনে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয় পাকিস্তানের মাটিতে বাবর আজম-শাহীন শাহ আফ্রিদিদের হোয়াইটওয়াশ করা। এ ছাড়া ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও টেস্ট জিতেছে বাংলাদেশ।