আগে ব্যাট করে আফগানিস্তানও বড় রান পায়নি। তারা ১৯০ রানেই অল আউট হয়ে যায়। ফলে বলাই যায় বোলাররা তাদের কাজটা ঠিকভাবেই করেছিলেন। তবে কে জানত ব্যাট হাতে বাংলাদেশ আবারও ব্যর্থ হবে। হয়েছেও তাই। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ১০৯ রানেই অল আউট হয়ে গেছে। ৮১ রানের হারে সিরিজ হারও নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের। এই ম্যাচে তানজিদ হাসান তামিম ও সাইফ হাসান মিলে বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি।
এরপর নাজমুল হোসেন শান্তও ব্যর্থ হয়েছেন। রান পাননি মেহেদী হাসান মিরাজও। সাইফ হাসান ভালো শুরু পেলেও ২২ রানের বেশি করতে পারেননি। টপ অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ৫০ রান তুলতেই বাংলাদেশ হারায় ৪ উইকেট। সেখান থেকে দলীয় ১০০ রানের মধ্যে আরও ৫ উইকেট হারিয়ে ধসে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। মিডল অর্ডারে তাওহীদ হৃদয় আশা দেখালেও তিনি ফেরেন ২৪ রানে।
নুরুল হাসান সোহান ও তানজিম সাকিবকে টানা দুই বলে বোল্ড করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জানিয়েছিলেন রশিদ খান। তবে সেটা না হলেও বাংলাদেশের হার তাতেই যেন নিশ্চিত হয়ে যায়। বাংলাদেশ এরপর আর বেশিদূর এগোতে পারেননি। একপ্রান্ত আগলে রাখা জাকের আলী ফিরেছেন ১৮ রান করে। রশিদ মাত্র ১৭ রানে ৫ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ইনিংস ধসিয়ে দিয়েছেন। এ ছাড়া ৩টি উইকেট নিয়েছেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। তিনিই শুরুর ধাক্কা দিয়েছিলেন বাংলাদেশকে।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা আফগানিস্তানের শুরুটা ভালো হয়নি। তানজিম সাকিবের শর্ট ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে দ্রুতই ফেরেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি সেদিকউল্লাহ অটলও। তানভীর ইসলামের ঝুলিয়ে দেয়া ডেলিভারিতে উড়িয়ে মারার চেষ্টায় লং অনে ক্যাচ দিয়েছেন তানজিমের হাতে। ইব্রাহিমের জুটি গড়ে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন রহমত শাহ। যদিও ব্যথার কারণে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি হাশমতউল্লাহও। মিরাজের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন তিনি। ডানহাতি অফ স্পিনারের অফ স্টাম্পের বাইরের পড়ে ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফেরার আগে ৪ রান করেছেন তিনি। টিকতে পারেননি ওমরজাইও। লেগ স্পিনারের রিশাদের অফ স্টাম্পে লেংথ ডেলিভারিতে আউট সাইড এজ হয়ে স্লিপে তানজিদের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। ৭৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে আফগানিস্তান। নবি ও ইব্রাহিম মিলে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন।
কার্যকরী ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে আফগানদের হাল ধরেন ইব্রাহিম। তবে ভালো শুরু পেয়েও ২২ রানে ফিরতে হয়েছে নবিকে। শেষের দিকে খারোটে ১৩, গাজানফার ২২ রান করেছেন। একপ্রান্ত আগলে সেঞ্চুরির পথে হাঁটলেও সেটা করতে পারেননি ইব্রাহিম। মিরাজের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে রিশাদের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৯৫ রানের ইনিংস খেলে। ব্যথা নিয়ে রহমত ব্যাটিংয়ে এলেও এক বলের বেশি খেলতে পারেননি। ফলে ১৯০ রানে থামতে হয়েছে তাদের। বাংলাদেশের হয়ে মিরাজ তিনটি ও রিশাদ-তানজিম নিয়েছেন দুইটি করে উইকেট।