বাংলাদেশকে ইনিংস ব্যবধানে হারিয়ে শ্রীলঙ্কার সিরিজ জয়

ছবি: কেবল ৩০ মিনিট উইকেটে ছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা, ক্রিকফ্রেঞ্জি

দিন শুরু হওয়ার পাঁচ নম্বর বলেই ফিরে গেছেন লিটন দাস। বাংলাদেশ দলের এই আস্থাবান উইকেটরক্ষককে ফিরিয়েছেন প্রবাথ জয়সুরিয়া। ৪৩ বলে ১৪ রান করা লিটন প্রবাথের টার্ন করা বলটি রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলেন। যদিও বলটি তার ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটরক্ষক কুশল মেন্ডিসের গ্লাভসে চলে যায়।
এটা আমার জন্য সত্যিই বিব্রতকর: বুলবুল
৩১ মিনিট আগে
লিটন ফেরার এক ওভার পর ফিরে যান নাঈম হাসানও। প্রবাথের পরের ওভারে এগিয়ে এসে ডেলিভারিটি খেলতে চেয়েছিলেন তিনি। যদিও টার্ন করা বলটি ব্যাটে ;লাগাতে পারেননি তিনি। বল চলে যায় উইকেটরক্ষক কুশল মেন্ডিসের হাতে, সহজেই স্টাম্পিং করে দেন তিনি। আট বলে পাঁচ রান করা নাঈমকে দাগে ফেরার চেষ্টা করেও পারেননি, প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় তাকে।
এরপর তাইজুল ইসলামকে কট এন্ড বোল্ড করে নিজের পাঁচ উইকেট পূরণ করেন প্রবাথ। লঙ্কান এই স্পিনারের টার্ন করা বলটি বুঝতেই পারেননি তাইজুল। ফিরতি ক্যাচ তুলে দেন বোলারের দিকে। ক্যাচটি লুফে নিতে একটুও কষ্ট হয়নি প্রবাথের। এরপরের ওভারে ইবাদত হোসেনকে এলবডব্লিউ করেন থারিন্দু রত্নায়েকে। ফলে ১৩৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।

গল টেস্টের মত এই টেস্টেও টস জিতে ব্যাটিং নেয় বাংলাদেশ। তবে প্রথম ইনিংসেই ব্যর্থ হয় দলটি। সাদমান ইসলামের ৪৬, মুশফিকের ৩৫, লিটনের ৩৪, তাইজুলের ৩৩, মেহেদী হাসান মিরাজের ৩১ রানের ইনিংসে ২৪৭ রান করে দলটি।
ওমান-হংকংকে ছাড়াই ১০ সেপ্টেম্বর শুরু হতে পারে এশিয়া কাপ
৪ ঘন্টা আগে
এরপর বোলিংয়ে চূড়ান্ত ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। ম্যাচ ও সিরিজসেরা নির্বাচিত হওয়া পাথুম নিশাঙ্কার ১৫৮, দীনেশ চান্দিমালের ৯৩, কুশলের ৮৪ রানের সুবাদে ৪৫৮ রান করে স্বাগতিকরা। বাংলাদেশের হয়ে ১৩১ রান খরচায় পাঁচটি উইকেট নেন তাইজুল, ৮৭ রানে তিনটি উইকেট নেন নাঈম। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে গতকালই ১১৫ রানে ছয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ (প্রথম ইনিংস)- ২৪৭/১০ (৭৯.৩ ওভার) (সাদমান ৪৬, মুশফিক ৩৫, লিটন ৩৪, মিরাজ ৩১, তাইজুল ৩৩; দিনুশা ৩/২২, আসিথা ৩/৫১)
শ্রীলঙ্কা (প্রথম ইনিংস)- ৪৫৮/১০ (১১৬.৫ ওভার) (নিশাঙ্কা ১৫৮, উদারা ৪০, চান্দিমাল ৯৩, প্রবাথ ১০, কামিন্দু ৩৩, কুশাল ৮৪; )
বাংলাদেশ (দ্বিতীয় ইনিংস)- ১৩৩/১০ (৪৪.২ ওভার) (মুশফিক ২৬, বিজয় ১৯, শান্ত ১৯; প্রবাথ ৫/৫৬ )