জুলাই থেকে পিঠের ইনজুরিতে ভুগছেন কামিন্স। নভেম্বরের ২১ তারিখে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে তার খেলা নিয়ে আগেই ছিল অনিশ্চয়তা। কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড জানিয়েছেন, কামিন্স ইতোমধ্যে দৌড়ানো শুরু করেছেন।
এ প্রসঙ্গে ম্যাকডোনাল্ড বলেন, 'ম্যাচের জন্য সম্পূর্ণ ফিট হতে চার সপ্তাহেরও বেশি সময় লাগে, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমরা সেই সময়টা পাইনি। তবু দ্বিতীয় টেস্টের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।'
চলতি সপ্তাহেই বল হাতে অনুশীলনে ফেরার কথা রয়েছে কামিন্সের। ডিসেম্বরের ৪ তারিখে ব্রিসবেনে শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় টেস্টেই তার ফেরার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
কামিন্সের অনুপস্থিতি দলে জায়গা করে দিতে পারে স্কট বোল্যান্ডকে। তবে কোচের বিশ্বাস, দলে বিকল্পের অভাব নেই।
ম্যাকডোনাল্ড বলেন, 'যদি স্কট বোল্যান্ডকে সম্ভাব্য বদলি হিসেবে ভাবা হয়, তাহলে আমরা খারাপ অবস্থায় নেই। আর কামিন্স ফিরে এলে সেটা হবে দলে এক বিশাল শক্তির যোগান।'
পার্থ টেস্টে হ্যাজেলউড ও স্টার্কের সঙ্গে বোল্যান্ডই গড়তে পারেন অস্ট্রেলিয়ার পেস আক্রমণ। ১৪ টেস্টে ১৬.৫৩ গড়ে ৬২ উইকেট নেওয়া ৩৬ বছর বয়সী এই পেসারকে দেশের কন্ডিশনে বিশেষভাবে কার্যকর মনে করা হয়।
২০১৮ সালের বল-টেম্পারিং কেলেঙ্কারির পর অধিনায়কত্ব হারানো স্টিভ স্মিথ কামিন্সের অনুপস্থিতিতে এর আগেও ছয়বার দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। কোচ বলেন, 'স্টিভ স্মিথের মতো অভিজ্ঞ নেতা আমাদের দলে থাকা এক বিশাল সৌভাগ্য। তারা (স্মিথ ও কামিন্স) একে অপরের সঙ্গে দারুণভাবে কাজ করে, আর কামিন্সও পার্থে দলের সঙ্গেই থাকবে।'