গিলের সেঞ্চুরি মিসের দিনে একপেশে ম্যাচ জিতল ভারত

ছবি: ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার পথে গিল, বিসিসিআই

দ্রুত খেলা শেষ করতে গিয়ে ব্যক্তিগত ৮৭ রানে আউট হয়েছেন শুভমান গিল। এরপরও তার হাতেই উঠেছে ম্যাচসেরার পুরষ্কার। জয় থেকে ভারত যখন ১৪ রান দূরে তখন সেঞ্চুরি পেতে গিলের দরকার ছিল ১৩ রান। এমন পরিস্থিতিতেই সাকিব মাহমুদের বলে শর্ট মিড উইকেট দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন এই ভারতীয় ব্যাটার।
হার দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু বাংলাদেশের
২০ ফেব্রুয়ারি ২৫
এরপর হার্দিক পান্ডিয়া ৬ বলে ৯ ও রবীন্দ্র জাদেজা ১০ বলে ১২ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ম্যাচ শেষ করে এসেছেন। ২৪৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো ছিল না ভারতের। শুরুতেই ২২ বলে ১৫ রান করে ফিরে যান ইয়াসভি জয়সাওয়াল। আর মাত্র ২ রান করে আউট হন অধিনায়ক রোহিত।
সেখান থেকেই দলের হাল ধরেন গিল ও শ্রেয়াস আইয়ার। দুজনে মিলে গড়েন ৯৪ রানের জুটি। তাতেই বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠে ভারত। আইয়ার ফিরেছেন ৩৬ বলে ৫৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে। এরপর অক্ষর প্যাটেলকে নিয়ে আরও ১০৮ রান যোগ করেন গিল।

প্যাটেল হাফ সেঞ্চুরি তুলে ফিরেছেন ৪৭ বলে ৫২ করে। এরপর দ্রুত লোকেশ রাহুল ২ রান করে আউট হলেও ভারতের জয় যেন অবধারিতই ছিল। গিল ফিরলেও ৩৯ ওভারের মধ্যেই ভারত বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। ইংল্যান্ডের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন সাকিব ও আদিল রশিদ। একটি করে উইকেট পেয়েছেন জোফরা আর্চার ও জ্যাকব বেথেল।
কোহলির সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানকে হারিয়ে সেমিতে এক পা ভারতের
৮ ঘন্টা আগে
এর আগে জস বাটলার ও বেথেলের জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করে লড়াইয়ের পুঁজি পেয়েছিল ইংল্যান্ড। সফকারীদের ব্যাটিং অর্ডারে নিয়মিত বিরতিতে আঘাত হেনে ইংলিশদের উড়ন্ত সূচনাকে বড় সংগ্রহে রূপ দিতে দেননি ভারতীয় বোলাররা। বিশেষ করে হার্শিদ রানা ও জাদেজা ৩টি করে উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডকে ধসিয়ে দিয়েছেন। একটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ শামি, প্যাটেল ও কুলদীপ যাদব।
দল জয় থেকে যখন ১৪ রান দূরে, তখন সেঞ্চুরি করতে গিলের দরকার ছিল ১৩। সে কারণেই তো সাকিব মাহমুদের শর্ট বলে মিডউইকেট দিয়ে উড়িয়ে মারতে গেলেন। এ ছাড়া পুরো ম্যাচই ছিল ম্যাড়মেড়ে। নাগপুরে ইংল্যান্ডের তোলা ২৪৮ রান ভারত তাড়া করেছে ৩৮.৪ ওভারে। এই জয়ে ওয়ানডে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ভারত। এর আগে টি-টোয়েন্টি সিরিজ একপেশেভাবে জিতেছিল ভারত।