মিরপুর, সিলেট কিংবা চট্টগ্রামের বাইরে বেশিরভাগ স্টেডিয়ামেরই প্রায় একই দশা। জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) খেলা হলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ছোঁয়া নেই। উইকেট নিয়ে প্রশ্ন আছে অনেকে। হাতেগোনা কয়েকটা মাঠের উইকেট বাদ দিলে বাকিগুলো ব্যবহার যোগ্য নয়। এমন অবস্থায় জাতীয় দলের বাইরের খেলা ঢাকার বাইরে আয়োজনে হিমশিম খায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সেই সমস্যা দূরীকরণে ‘হান্ড্রেড উইকেটস ইন ২০২৬’ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বোর্ড।
এ প্রসঙ্গে খালেদ মাসুদ পাইলট বলেন, ‘আমার মনে হয় বাংলাদেশের ক্রিকেটকে যদি ভালো জায়গায় নিয়ে যেতে চাই মাঠ খুব গুরুত্বপূর্ণ। মাঠ ছাড়া ক্রিকেটে এগোনো খুব কঠিন। আপনারা জানেন অনেকগুলো মাঠ কিন্তু খুবই বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। ফতুল্লার আউটারের কথা যদি বলেন... সাথে সাথে পূর্বাচলের যে মাঠটা আছে দীর্ঘদিন ধরে সেটা আমাদের তালিকাভূক্ত। কিন্তু মাঠের কোন ধরনের উন্নতি হয়নি। আমরা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করেছি কিন্তু দ্রুতই আমরা চাচ্ছি যে এই মৌসুমের মধ্যে চেষ্টা করছি একশর বেশি উইকেট বানানোর জন্য।’
সবশেষ কয়েক বছর ধরেই ঢাকার আশেপাশে মাঠ কেনার চেষ্টা চালাচ্ছে বিসিবি। যদিও পর্যাপ্ত মাঠ কিনতে পারেনি তারা। যার ফলে স্কুল ক্রিকেট, ঢাকা প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ, তৃতীয় বিভাগ কিংবা কোয়ালিফাইং টুর্নামেন্ট আয়োজনে বেগ পেতে হচ্ছে। বিকেএসপিতে ডিপিএল খেলা নিয়েও আলোচনা-সমালোচনা রয়েছে। তবে একশ উইকেট বানাতে নতুন কোন মাঠ কিনছে না বিসিবি। পুরনো মাঠে কিভাবে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে সেটা জানিয়েছেন পাইলট।
বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, ‘ছোট ছোট কিছু কাজ হচ্ছে যার জন্য হয়ত মাঠে খেলা হচ্ছে না। আপনি যদি ফতুল্লার আউটার খেয়াল করে দেখেন সেখানে সমস্ত কিছু ফেলা আছে হয়ত ২০ শতাংশ কাজ আছে যার জন্য হয়ত খেলাই হচ্ছে না। ওইটার যদি উন্নতি করা যায় ওইখানে প্রায় ৯ টার মতো উইকেট হবে। পূর্বাচলে আমরা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি, আজকে অনেক কথা বলেছি অনেকটা এগিয়েছে এটা। আশা করছি এখানেও ১০ টা করে মোট ২০ টা উইকেট হবে।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমার যতটুকু অভিজ্ঞতা আছে আমাদের বিভাগীয় ভেন্যুগুলো—বগুড়া, খুলনা, রাজশাহীর কথা বলেন এখানে কিন্তু ২০ বছর আগের পাঁচটা করে সেন্টার উইকেট আছে। দুই পাশে দুইটা করে চারটা উইকেট আছে। এই মাঠগুলোতে যখন বয়সভিত্তিক কিংবা প্রথম শ্রেণির খেলা হয় তখন ওই পাঁচটা উইকেটেই খেলা হয়। এর ফলে একটা সময় পর উইকেটের আর ঘাস থাকে না। ওই সেন্টার উইকেটগুলোতে আমরা যদি আরও দুই পাশে দুইটা করে চারটা উইকেট বাড়াই...। ড্রেসিং রুমের সামনেও দুইটা করে চারটা উইকেট আছে। বিপরীত পাশেও যদি আমরা দুইটা করে উইকেট বানাই তাহলে ভবিষ্যতে প্রত্যেকটা ভেন্যুতে আমরা ভালো উইকেট দিতে পারব।’