আয়ারল্যান্ডকে উড়িয়ে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ

বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ
আয়ারল্যান্ডকে উড়িয়ে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ
বিসিবি
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
পল স্টার্লিংয়ের ব্যাটে উড়ন্ত শুরু পেয়েছিল আয়ারল্যান্ড। তবে মুস্তাফিজুর রহমান-রিশাদ হোসেনরা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে দেয়নি সফরকারীদের। তারা ‍দুজনই পেয়েছেন তিনটি করে উইকেট। বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলামের শিকার দুইটি। মুস্তাফিজ-শরিফুল ও রিশাদের এমন বোলিংয়ে আয়ারল্যান্ডকে মাত্র ১১৭ রানে আটকে দেয় বাংলাদেশ। সিরিজ জিততে সহজ লক্ষ্য তাড়ায় তানজিদ হাসান তামিমের হাফ সেঞ্চুরির সঙ্গে সাইফ হাসান ও পারভেজ হোসেন ইমনের ব্যাটে ৮ উইকেটের জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। প্রথম ম্যাচে হারলেও শেষ দুই টি-টোয়েন্টিতে জিতে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছেন লিটন দাসরা।

প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে তানজিদের সঙ্গে ওপেন করেছিলেন পারভেজ ইমন। তবে চট্টগ্রামে শেষ ম্যাচে তানজিদের সঙ্গে পাঠানো হয় সাইফকে। তাদের দুজনের ব্যাটে ভালো শুরুই পায় বাংলাদেশ। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে ক্রেইগ ইয়াংয়ের টানা দুই বলে চার-ছক্কা মেরেছিলেন সাইফ। ওভারের শেষ বলেও ছক্কা মারতে চেয়েছিলেন। লং অফের উপর দিয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় করে ক্যাচ দিয়েছেন মার্ক অ্যাডায়ারের হাতে।

ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু পায় সাইফ ১৪ বলে ১৯ রান করে ফিরলে ভাঙে তানজিদের সঙ্গে ৩৮ রানের উদ্বোধনী জুটি। তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি লিটন। অফ স্পিনার হ্যারি টেক্টরের গুড লেংথ ডেলিভারিতে ছক্কা মারতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়েছেন কার্টিস ক্যাম্ফারের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৬ বলে ৭ রান করে। ওপেনিংয়ের পরিবর্তে চারে নামেন পারভেজ ইমন। বাঁহাতি ব্যাটার ভালো শুরুও পান।

পাশাপাশি দ্রুত রান তুলতে থাকেন ওপেনার তানজিদও। তাদের ব্যাটে এগিয়ে যেতে থাকে বাংলাদেশ। একটু আরও আক্রমণাত্বক হয়ে উঠেন তানজিদ। গ্যারেথ ডেলানির করা ১১তম ওভারে দুই ছক্কা ও এক চার মেরে হাফ সেঞ্চুরির খুব কাছে চলে যান বাঁহাতি এই ওপেনার। ইয়াংকে ছক্বা মেরে ৩৫ বলে করেছেন হাফ সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৫৫ রানে। এ ছাড়া পারভেজ ইমন ৩৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।

চট্টগ্রামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ভালো শুরু পায় আয়ারল্যান্ড। টিম টেক্টরের বিদায়ে ভাঙে স্টার্লিংয়ের সাথে ৩৮ রানের জুটি। বাংলাদেশের বোলারদের তোপে দ্রুতই ফেরেন হ্যারি টেক্টর, লরকান টাকার, কার্টিস ক্যাম্ফায়ার। দ্রুতই কয়েকটি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে সফরকারীরা। একপ্রান্ত আগলে রেখে রান তোলার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত স্টার্লিং আউট হয়েছেন ৩৮ রানের ইনিংস খেলে।

শেষের দিকে জর্জ ডকরেল ১৯ ও গ্যারেথ ডেলানি করেছেন ১০ রান। মুস্তাফিজ, রিশাদ ও শরিফুলের দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র ১১৭ রানে অল আউট হয় আইরিশরা। ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া তানজিদ তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন ফিল্ডার হিসেবে। টেস্ট খেলুড়ে দেশের প্রথম ফিল্ডার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ৫টি ক্যাচ নিয়েছেন তানজিদ। এর আগে বাংলাদেশের ফিল্ডারদের সর্বোচ্চ ক্যাচ নেয়ার রেকর্ড ছিল তিনটি।

আরো পড়ুন: বাংলাদেশ