এশিয়া কাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচে হংকংয়ের বিপক্ষে অপরাজিত ৩৫ রানের ইনিংস খেললেও হৃদয়কে নিয়ে হচ্ছিলো সমালোচনা। কারণটা ছিল তার স্ট্রাইকরেট। এর পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৮, আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২৬, প্রতিবারই হৃদয় মিডল অর্ডারে নেমে খেলার গতি কমিয়েছেন ব্যাট হাতে। কিন্তু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষের সুপার ফোরের ম্যাচে হৃদয় করেন ৫৮ রানে।
দারুণ ইনিংসে বাংলাদেশকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে। ভক্তরাও ভুলে গিয়েছিল তার অতীরের ব্যর্থতা। ভারতের বিপক্ষে আবারো খেই হারিয়ে ফেলেন এই ব্যাটার। আউট হন ৭ রানে। তারপর পাকিস্তানের বিপক্ষেও হলেন ব্যর্থ।
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে হৃদয় আউট হন ১০ বলে মাত্র ৫ রান করে। আর এতেই হৃদয়কে নিয়ে হছে ব্যাপক সমালোচনা। জনপ্রিয় ক্রিকেট বিশ্লেষক হার্শা ভোগলেও করলেন হৃদয়ের সমালোচনা।
'আমি কখনোই ফিল সিমন্স (প্রধান কোচ) হবো না। কিন্তু আমি যদি ফিল সিমন্স হতাম তাহলে আজকের রাতটা যেতে দিতাম। কালকের সকালের নাস্তার সময় আমি তাওহীদ হৃদয়কে জিজ্ঞেস করতাম, ‘তুমি কী ওয়ার্ল্ড ক্লাস প্লেয়ার হতে চাও?’ কারণ তুমি যদি বিশ্ব মানের ক্রিকেটার হতে চাও তাহলে তোমার অ্যাপ্রোচ, ভিন্নভাবে ব্যাটিং করতে হবে। তুমি যাও ১০০ টা বল খেলো, ভিন্ন ভিন্ন শট শেখো। আজকে সে যেটা করেছে বিশ্বমানের ক্রিকেটার তৈরি হচ্ছে এটা সেটার নমুনা না। আজকে তার কাছে এমন একটা দিন ছিল যেখানে সে বিশ্বকে দেখাতে পারতো দেখো আমি কে।'
উদাহরণ দিতে গিয়ে হার্শা টেনে আনেন ১৩ বছর আগে খেলা কোহলির একটি ইনিংস, '২০১২ সালে বিরাট কোহলি এমন একটা ম্যাচে খেলে জানিয়ে দিয়েছিল আমি এমন ম্যাচ জেতাতে পারি। ঠিক আছে কোহলি ভিন্ন মাপের ক্রিকেটার। কিন্তু হৃদয়ের মতো একজনের জন্য আজকে এমন একটা দিন ছিল যদি তুমি বিশ্বকে বলতে চাও আমি বিশ্বমানের ক্রিকেটার তাহলে অ্যাঙ্কর করে চেজ করতে হতো। অ্যাঙ্কর বলতে বুঝাচ্ছি ৫০ কিংবা ৬০ রানের একটা ইনিংস খেলে আসো।'
শুধু হার্শা ভোগলে নয়। ভারতীয় আরেক ক্রিকেট বিশ্লেষক দীনেশ কার্তিকও হতাশ হৃদয়কে নিয়ে। পাওয়ার প্লে'র বাইরে হৃদয়ের ব্যাট চালানোর মতো স্কিল নেই বলে সরাসরি মন্তব্য করেছেন তিনি।
'আপনি তাওহীদ হৃদয়কে দেখুন- তাকে অনেক হাইলি রেট করা হয়। কিন্তু পাওয়ার প্লের বাইরে খেলার মতো স্কিল তার নাই। এখন তার ভেতরে ওই জিনিসটা নেই পাওয়ার প্লেতে কম ঝুঁকি নিয়ে কিভাবে বাউন্ডারি মারতে হবে। সবই হাই রিস্ক শট ছিল।'