এক ছক্কা ও দুই চারে সেই ওভার থেকে ১৬ রান আনেন ট্রায়ন। বাংলাদেশের সুযোগ এসেছিল শেষের দিকেও। ৮ বলে তখন সাউথ আফ্রিকার প্রয়োজন ৯ রান। এমন সময় রাবেয়ার বলে লং অফে ক্যাচ তুলে নেন নাদিনে ডি ক্লার্ক। তবে ডানহাতি ব্যাটারের দেয়া সহজ ক্যাচ নিতে পারেননি স্বর্ণা আক্তার। দুই ক্যাচের সঙ্গে বেশ কয়েকটি রান আউটের সুযোগও হাতছাড়া করেছেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। সুযোগ নষ্ট করা সাউথ আফ্রিকাকে বাগে পেয়েও হারাতে পারেনি বাংলাদেশের মেয়েরা।
নিগার সুলতানা জ্যোতি মনে করেন, ওই দুইটা ক্যাচ ধরতে পারলে ম্যাচের ফলাফল ভিন্ন হতে পারতো। বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেন, ‘দেখুন—ম্যাচে অনেক সময় এমন হতে পারে। এটা কঠিন ছিল কারণ চাপ বাড়ছিল, বোলারদের জন্য বল গ্রিপ করাও কঠিন ছিল, ফিল্ডারদের জন্যও। আমি কোনো অজুহাত দিতে চাই না। এরকম পরিস্থিতিতে আপনাকে নার্ভ ধরে রাখতে হবে। হ্যাঁ, আমরা ওই দুইটা সুযোগ মিস করেছি। যদি ক্যাচ দুইটা ধরতে পারতাম তাহলে হয়ত ফলাফল ভিন্ন হতো।’
আগের ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে সাউথ আফ্রিকার সঙ্গে তুলনামূলক ভালো ব্যাটিং করেছেন ব্যাটাররা। যদি টপ অর্ডার ব্যাটারদের ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ নিয়ে সমালোচনার জায়গা আছে। ম্যাচ চলাকালীন ধারাভাষ্যকাররাও তাদের ব্যাটিং ইন্টেন্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন। যদিও শারমিন আক্তার সুপ্তা ও স্বর্ণা আক্তারের হাফ সেঞ্চুরিতে ২৩২ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশের মেয়েরা।
বোলিংয়ে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। ছন্দে থাকা লরা উলভার্ট, তাজমিন ব্রিটসদের অল্পতেই আটকে দেন রাবেয়া, নাহিদা আক্তাররা। ৭৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে সাউথ আফ্রিকা। তবে মারিজান, ট্রায়নের হাফ সেঞ্চুরির সঙ্গে ডি ক্লার্কের ব্যাটে শেষ ওভারে জয় পেয়েছে তারা। বোর্ডে রান পেলেও বোলাররা জেতাতে পারেনি বাংলাদেশকে। জ্যোতি অবশ্য এসব না ভেবে বরং ১১০ শতাংশ এফোর্ট দেয়া মেয়েদের নিয়ে গর্বিত।
তিনি বলেন, ‘আমি হতাশ না (বোলারদের পারফরম্যান্সে)। যেভাবে মেয়েরা প্রত্যেকটা বলের জন্য লড়াই করেছে আমি বলব আমি গর্বিত। এরকম একটা স্টেজে এসে ক্লোজ ম্যাচগুলো নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ নয়। কিন্তু তারা তাদের ১১০ শতাংশ দিয়ে চেষ্টা করেছে। আমার কাছে মনে হয় অধিনায়ক হিসেবে আমি খুব খুশি।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের পর ইংল্যান্ডকেও চেপে ধরেছিল বাংলাদেশ। যদিও নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ভালো করতে পারেনি। সাউথ আফ্রিকাকে বাগে পেয়েও হারানো যায়নি মিস ফিল্ডিংয়ে। জ্যোতি মনে করেন, এভাবে পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে পরের ম্যাচে ভালো করার সুযোগ থাকবে বাংলাদেশের। যদিও কাজটা সহজ হবে না তাদের জন্য। কারণ পরের ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া।
এ প্রসঙ্গে জ্যোতি বলেন, ‘অবশ্যই, ধারাবাহিকতা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আজকে আমরা যে পারফরম্যান্সটা করেছি এটার ধারাবাহিকতা যদি আমরা বজায় রাখি তাহলে অবশ্যই পরের ম্যাচে আমাদের ভালো করার সুযোগ থাকবে।’