promotional_ad

বিপিএল আমার চোখ খুলে দিয়েছে: হোপ

ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট
ক্রিকফ্রেঞ্জি
একটা সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ওয়ানডেতে ওপেনিং করতেন শাই হোপ। তবে সেখান থেকে ডানহাতি ব্যাটার নেমে গেছেন চারে। জাতীয় দলের জার্সিতে সবশেষ কয়েক বছর ধরেই দারুণ সময় পার করছেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে নিয়মিত পারফর্ম করা হোপ মাস কয়েক আগে ওয়ানডেতে ছুঁয়েছেন ৫ হাজার রানের মাইলফলক। ইনিংস বিবেচনায় বিরাট কোহলি ও ভিভ রিচার্ডসের সঙ্গে যৌথভাবে তৃতীয়।

promotional_ad

৫০ ওভারের ক্রিকেটের মতো টি-টোয়েন্টিতেও সময়টা একেবারে খারাপ যাচ্ছে না তার। ওয়ানডেতে চারে ব্যাটিং করলেও ২০ ওভারের ক্রিকেটে হোপের পছন্দের জায়গা ওপেনিং। জাতীয় দলের পাশাপাশি ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) পারফর্ম করে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেও নিজের জায়গা বানাতে শুরু করেছেন। দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ও লাহোর কালান্দার্সের হয়ে খেলেছেন পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল)। 


যদিও সিপিএলের বাইরের হোপের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের শুরুটা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) হাত ধরে। খুলনা টাইগার্সের হয়ে সবশেষ দুই মৌসুমে খেলেছেন ১১ ম্যাচ। ১৩৭.৩৩ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৩২০ রান। অপরাজিত ৯১ রানের ইনিংস খেলার স্মৃতিও আছে হোপের। বিপিএলের হাত ধরে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের পথচলা শুরু হওয়া ডানহাতি ব্যাটার মাত্র ১১ ম্যাচ খেললেও বাংলাদেশে অনেক ভালো স্মৃতি আছে বলে জানান হোপ। 


ক্রিকফ্রেঞ্জির সঙ্গে একান্ত আলাপে বিপিএলের স্মৃতিচারণ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক বলেন, ‘আমি দুই মৌসুম বিপিএলে খেলেছি। ৯১ বা ৯২ রানের একটি ইনিংস ছিল। সেখানে খুব ভালো সময় কাটিয়েছি, অনেক স্মৃতি আছে। এর আগে আমি বাংলাদেশের লিগে খেলিনি। এটা আমার চোখ খুলে দিয়েছে।’


promotional_ad

বিপিএলের দুই মৌসুুমে আফিফ হোসেন ধ্রুব, মাহমুদুল হাসান জয়, নাসুম আহমেদের সঙ্গে খেলেছেন হোপ। টানা দুই মৌসুমে একই দলের হয়ে খেলায় তাদের সঙ্গে দারুণ বন্ধুত্বও হয়েছে তার। যদিও মাত্র কয়েকজনের নাম বলে অন্যদের কষ্ট দিতে চান না তিনি। একই সঙ্গে ওপেন করা জয়ের সঙ্গে এখনও কথা হয় বলে জানান হোপ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়কের আশা, প্রতিভাবান জয় বাংলাদেশের হয়ে আলো ছড়াতে পারবেন। 


হোপ বলেন, ‘আমি সেখানে নতুন কিছু বন্ধু পেয়েছি। আমি কারো নাম বলতে চাই না। তাহলে অন্যরা হতো কষ্ট পাবে। নাসুমের সঙ্গে খেলেছি। আরও অনেকেই ছিল। আফিফ ছিল। সে জিএসএলে খেলেছে। খুলনায় তাদের সঙ্গে খেলেছিলাম। তাদের বেশিরভাগই এখানে আছে। মাহমুদুল হাসান জয় ছিল টেস্ট সিরিজে। সে ওয়ানডে সিরিজে নেই। সে এমন একজন যার সঙ্গে আমার নিয়মিত কথা হয়। সেও তরুণ এবং প্রতিভাবান একজন ক্রিকেটার। আশা করছি সে আলো ছড়াতে পারবে।’


ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারিন, জেসন হোল্ডার, কেভিন কুপার, এভিন লুইস, জনসন চার্লস, আন্দ্রে ফ্লেচার, চ্যাডউইক ওয়ালটন, মারলন স্যামুয়েলসরা নিয়মিতই খেলেছেন বিপিএলে। যদিও বাংলাদেশের খুব বেশি ক্রিকেটারকে দেখা যায় না ওয়েস্ট ইন্ডিজের টুর্নামেন্ট সিপিএলে। সাকিব আল হাসান, আফিফ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা খেললেও নিয়মিত ছিলেন না কেউই। হোপ মনে করেন, ভালো ক্রিকেট খেলতে থাকলে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সুযোগ মিলবে সিপিএলে।


তিনি বলেন, ‘তুমি তোমার প্লেয়ারদের সিপিএলে চাও (হাসি)?   তারা অবশ্যই দারুণ ক্রিকেটার। বাংলাদেশের ছেলেরা যখন ক্রিকেট খেলে তারা লড়াই করতে যায়। এটা ক্রিকেটে অনেক বড় বিষয়। যখন তারা চ্যালেঞ্জে ফেলে এটা দেখতে ভালো লাগে। ক্রিকেট সহজ খেলা নয়। আমি জানি না ভবিষ্যতে কী হবে। তারা ভালো ক্রিকেট খেলতে থাকলে অবশ্যই কোনো না কোনো সিপিএল দল তাদের নেবে কে জানে।’



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: [email protected]
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball