promotional_ad

সানি শ: খেলা দেখার জন্য দেশ হতে দেশান্তরে

নিউজিল্যান্ডের খেলা দেখতে এক দেশ থেকে অন্য দেশে ঘুরছেন সানি শ
promotional_ad

|| ক্রিকেট করেসপন্ডেন্ট, সিলেট থেকে ||


আরো পড়ুন

আমি নিজের চেয়ে দলকে সবসময় ওপরে রাখি: হার্দিক

১ ঘন্টা আগে
শিরোপা জয়ের পর হার্দিক, আইসিসি

টেস্টের প্রতি অনীহার রোগটা বাংলাদেশের বেশ পুরনো। আশাতীত পারফরম্যান্স না থাকায় সাদা পোশাকের ক্রিকেট নিয়ে তেমন আগ্রহ নেই ক্রিকেটার কিংবা দর্শকদের। সাকিব আল হাসান একবার বলেছিলেন, বাংলাদেশে আসলে টেস্টের সংস্কৃতি নেই। সেদিন ভারী আক্ষেপও করেছিলেন বাংলাদেশের তারকা এই ক্রিকেটার। ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টিতে গ্যালারিতে দর্শক মিললেও টেস্টে দেখা যায় হাতেগোনা কিছু সংখ্যক সমর্থককে। বছর পাঁচেক পর টেস্ট ফিরেছে সিলেটে, এতদিন পর সাদা পোশাকের খেলা হওয়ায় কিছু সমর্থক আসবেন এমন আশা করাটা একেবারে বোকামি হবে না হয়ত। তবে বোকা বনে যেতে হয়েছে এমন কিছু ভেবে।


টেস্টের প্রথম দিনের ঘণ্টা দুয়েক পেরিয়ে গেলেও মাঠে পাওয়া যায়নি একশ সমর্থকও। দর্শকের জন্য গ্যালারি যেন কেবলই হাহাকার করছে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা, মাঠে বাংলাদেশি দর্শকের আধিক্যতা থাকবে এমনটাই তো স্বাভাবিক। তবুও মাঠের এক কোণায় মিলল এক কিউই সমর্থকের। প্রেসবক্সের ঠিক সামনের বাম পাশে নিউজিল্যান্ডের ড্রেসিং রুম। ভিআইপি গ্যালারিটাও ঠিক সেখানেই। দূর থেকে চোখ আটকে গেলে ভিআইপি গ্যালারির ঠিক দু তলায়। চোখে সানগ্লাস, গলায় মানুষের বানানো কিউই পাখির পুতুল এবং হাতে নিউজিল্যান্ডের বড় একটি পতাকা।


উনি যে নিউজিল্যান্ডের সমর্থক সেটা বোধহয় আর বলে দিতে হবে না। নাম সানি শ, থাকেন নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে। সেখানে একটি ফার্মে চাকরি করেন সানি শ। এর ফাঁকে খেলা দেখে বেড়ান তিনি। নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেট খেলা দেখার জন্য ৬৬তম বার বিদেশ ভ্রমণে এসেছেন সানি শ। শুনতে একটু অবিশ্বাস্য লাগলেও এটাই আসলে সত্য। এমন পরিসংখ্যান দেখার পর মনে হতে পারে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা থাকায় এটা হওয়া স্বাভাবিকই। এটা ভেবে থাকলে ভাবনাটা ভুলই বলা চলে। শুধু ক্রিকেটের জন্য সানি শ বিদেশ ভ্রমণ করে থাকেন ব্যাপারটা ঠিক এমন নয়।



promotional_ad

ক্রিকেটের পাশাপাশি কমনওয়েলথ গেমস, রাগবি, ইয়টিং এবং রোয়িংয়ের মতো খেলাতেও কিউইদের জন্য গলা ফাঁটান তিনি। ব্ল্যাকক্যাপসদের জন্য গিয়েছেন ফুটবল বিশ্বকাপেও। সবমিলিয়ে ১২২ বার দেশের বাইরে গেছেন স???নি শ। যেখানে ক্রিকেট ৬৬, রাগবি ৭। ক্রিকফ্রেঞ্জির সঙ্গে আলাপকালে শুনিয়েছেন সেসব গল্পই। খেলা দেখার জন্য বিদেশ ভ্রমণ করাটা প্যাশন জানিয়ে সানি শ বলেন, ‘আমার এমন জীবনটাই এমন, আমি পুরো বিশ্বে খেলা দেখে বেড়াই।’


‘নিউজিল্যান্ডকে অনুসরণ করে এটি আমার ১২২তম সফর, বেশিরভাগই অবশ্য ক্রিকেটের জন্য। ব্ল্যাকক্যাপসদের সঙ্গে এটি আমার ৬৬তম ক্রিকেটীয় সফর। রাগবি, ইয়টিং, রোয়িং এসবের জন্য ২৫বার বিদেশ ভ্রমণ করেছি। আমি কনওয়েলথ গেমস, ফুটবল বিশ্বকাপেও দলের জন্য গলা ফাটাতে গেছি। বলতে পারেন এটা আমার প্যাশন। খেলার জন্য বিশ্ব ভ্রমণ করতে আমার ভালো লাগে।’


অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ভ্রমণের অতীত অভিজ্ঞতা আছে সানি শ'র। ২০০৪ সালে প্রথমবার বাংলাদেশে এসেছিলেন তিনি। সেই সময় বাংলাদেশকে খেলতে হতো বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে। সেখানেই বাংলাদেশের খেলা দেখেছিলেন অকল্যান্ডের এই ভদ্রলোক। এরপর বাংলাদেশে এসেছেন ২০০৮ সালে, পরবর্তীতে বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালে নিউজিল্যান্ড ও সাউথ আফ্রিকার ম্যাচ দেখতে। এবার সানি শ এলেন চায়ের দেশ সিলেটে। এ প্রসঙ্গে সানি শ বলেন, ‘বাংলাদেশে এটি আমার চতুর্থ সফর। ২০০৪ সালে প্রথমবার বাংলাদেশে এসেছিলাম। এরপর ২০০৮ সালে এবং কোয়ার্টার ফাইনালে সাউথ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের খেলা দেখতে এসেছিলাম। আবার এবার এলাম।’


তর্ক সাপেক্ষে বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। রেকর্ড, পরিসংখ্যান আর অর্জন অন্তত সে কথাই বলে। তবে সাকিব নায়ক হয়ে উঠার আগে আশার ফুল ফুটিয়েছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। বড় দলের বিপক্ষে বড় ইনিংস খেলা আশরাফুলকে নিয়ে গিয়েছিল অন্য এক মাত্রায়। বাংলাদেশে তার পছন্দের ক্রিকেটারের কথা জানতে চাইতেই বললেন আশরাফুলের নাম। সানি শ বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মাঝে মোহাম্মদ আশরাফুল আমার পছন্দের একজন। কিন্তু এখন সে আর খেলে না।’



নিজের পছন্দের ক্রিকেটারের সঙ্গে সুখস্মৃতির কথাও শোনালেন সানি শ। তিনি বলেন, ‘২০০৪ সালের সেই সিরিজে বাউন্ডারির কাছে দাঁড়িয়ে আশরাফুলের সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল। এটা কিন্তু তোমাদের নতুন স্টেডিয়ামে না। তখন তোমরা পুরাতন একটা স্টেডিয়ামে খেলতা (বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম)। ওইটা মনে হয় ফুটবল স্টেডিয়াম ছিল। সেই ম্যাচে আশরাফুল ৮০ কিংবা ৮৭ রান করেছিল। সে দারুণ একজন ব্যাটার ছিল।’


সানি শ: ক্রিকেটের জন্য, খেলার জন্য। দেশ হতে ছুঁটে চলেছেন দেশান্তরে...



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball