জসপ্রিত বুমরাহ থাকার পরও পুরো এশিয়া কাজ জুড়েই ইনিংসের প্রথম ওভারে বোলিং করেছেন হার্দিক পান্ডিয়া। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও ডানহাতি পেসারের হাতেই বল তুলে দেন অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। বোলিংয়ে এসে প্রথম ওভারের চতুর্থ বলেই কুশল মেন্ডিসকে ফেরান তিনি। হার্দিকের অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ ডেলিভারিতে আউট সাইড এজ হয়ে শুভমান গিলের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন।
টানা দুই ম্যাচেই গোল্ডেন ডাক মেরেছেন মেন্ডিস। শ্রীলঙ্কান ওপেনারকে ফেরানোর ওভার শেষেই মাঠ ছাড়েন হার্দিক। দ্বিতীয় ইনিংসের পুরোটা সময় মাঠের বাইরে ছিলেন তিনি। ফিল্ডিং না করলেও ফাইনালের আগে তাকে নিয়ে তৈরি হওয়া শঙ্কা তৈরি দিয়েছেন মরকেল। তিনি নিশ্চিত করেছেন, বাঁ পায়ে ক্র্যাম্প হয়েছে হার্দিকের।
২৭ সেপ্টেম্বর সকালে তাঁর চোটের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হবে। এ প্রসঙ্গে ভারতের পেস বোলিং কোচ বলেন, ‘হ্যাঁ, হার্দিক ক্র্যাম্প আছে। আজকে (২৬ সেপ্টেম্বর) ও কাল (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে তাকে পর্যবেক্ষণ করা হবে। তারপর তাকে নিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিব।’ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেও প্রায় একই ধরনের কথা বলেছেন অধিনায়ক সূর্যকুমার।
হার্দিকের মতো চোট পেয়েছেন অভিষেকও। দ্বিতীয় ইনিংসের নবম ওভারের সময় অস্বস্তিতে ভুগতে দেখা যায় বাঁহাতি ওপেনারকে। দৌড়ানোর সময় হঠাৎ করেই ডান পায়ের উঁরুতে অস্বস্তি অনুভব করেন। পরবর্তীতে ১০ম ওভারের সময় মাঠ ছাড়েন। ইনিংসের বাকিটা সময় মাঠের বাইরেই কাটিয়েছেন তিনি। যে কারণে সুপার ওভারে তাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায়নি ভারত।
অভিষেক ও হার্দিকের চোটের কারণে ম্যাচের বিভিন্ন সময়ে ফিল্ডিং করেছেন রিংকু সিং, শিভাম দুবে এবং জিতেশ শর্মা। একটা সময় অবশ্য তিলক ভার্মাও মাঠ ছেড়েছিলেন। তবে হাইড্রেশন ব্রেকের পরই তিনি আবার মাঠে ফেরেন। গ্রুপ পর্ব ও সুপার ফোরের সবগুলো ম্যাচেই জয় পেয়েছে ভারত। ২৮ সেপ্টেম্বর হতে যাওয়া ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। চলতি এশিয়া কাপেই এখন পর্যন্ত পাকিস্তানকে দুইবার হারিয়েছেন তারা।