ক্যারির সেঞ্চুরি, খাওয়াজার ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার বড় সংগ্রহ

অ্যাশেজ
ক্যারির সেঞ্চুরি, খাওয়াজার ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার বড় সংগ্রহ
সেঞ্চুরির পর অ্যালেক্স ক্যারি, ফাইল ফটো
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
অ্যালেক্স ক্যারির সেঞ্চুরি ও উসমান খাওয়াজার গুরুত্বপূর্ণ ৮২ রানে ভর করে অ্যাডিলেড টেস্টের প্রথম দিন শেষে ভালো অবস্থানে আছে অস্ট্রেলিয়া। টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮৩ ওভারে আট উইকেটে ৩২৬ রান তোলে স্বাগতিকরা। দিন শেষে অপরাজিত আছেন মিচেল স্টার্ক ৩৩ ও নাথান লায়ন শুন্য রানে।

দিনের শুরুটা অবশ্য খুব স্বস্তির ছিল না অস্ট্রেলিয়ার জন্য। প্রথম সেশনে ওপেনার ট্রাভিস হেড ও জেক ওয়েদারাল্ড আউট হলে দুই উইকেটে ৯৪ রান নিয়ে মধ্যাহ্নবিরতিতে যায় দল। ১০ রান করা হেড পয়েন্টে ক্যাচ দেন।

আর্চারের ১৪৭ কিমি গতিবেগের বলে পুল করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ১৮ রান করা ওয়েদারাল্ড। পিচে তখনও ইংল্যান্ডের পেসাররা ভালো লাইন–লেন্থ ধরে রাখছিলেন। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে বড় ধাক্কা আসে জফরা আর্চারের স্পেলে।

পরপর তিন বলের মধ্যেই মার্নাস ল্যাবুশেন ও ক্যামেরন গ্রিনকে ফেরান তিনি। দুজনই মিড উইকেটে ক্যাচ দেন। চার উইকেটে ৯৪ রানে পড়ে চাপে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া, সেখান থেকেই ম্যাচে নতুন মোড় নেয় ক্যারি ও খাওয়াজার জুটি।

পঞ্চম উইকেটে ক্যারি–খাওয়াজার জুটি যোগ করেন ৯১ রান। চারে নেমে খাওয়াজা খেলেন ১২৬ বলে ৮২ রানের ধৈর্যশীল ইনিংস, যা অস্ট্রেলিয়াকে বড় ধসের হাত থেকে বাঁচায়। স্টিভ স্মিথ ভার্টিগো সমস্যায় শেষ মুহূর্তে ছিটকে যাওয়ার পর খাওয়াজার এই ইনিংস ছিল বাড়তি গুরুত্বের।

ক্যারি এরপরও এক প্রান্ত আগলে রেখে নিয়মিত জুটি গড়ে তোলেন। ষষ্ঠ উইকেটে জশ ইংলিসের সঙ্গে ৫৯, সপ্তম উইকেটে অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের সঙ্গে ২৭ এবং অষ্টম উইকেটে স্টার্কের সঙ্গে যোগ করেন আরও ৫০ রান। শেষ বিকেলে উইল জ্যাকসকে মেরে খেলতে গিয়ে আউট হন তিনি।

১৪৩ বলে ১০৬ রানের এই ইনিংস ক্যারির টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি, অ্যাশেজে ও অ্যাডিলেডে তার প্রথম। ২০২১ সালে অভিষেকের পর টেস্টে অস্ট্রেলিয়ান উইকেটকিপারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রানও এখন ক্যারির। গিলক্রিস্ট, হিলি ও হাডিনের পর চতুর্থ অজি উইকেটরক্ষক হিসেবে অ্যাশেজে সেঞ্চুরি পেলেন তিনি।

ইংল্যান্ডের বোলাররা পুরোপুরি ব্যর্থ ছিলেন না। আর্চারের পাশাপাশি ব্রাইডন কার্স গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেন। তবে বিশেষজ্ঞ স্পিনার না খেলিয়ে পার্টটাইম অফ স্পিনার উইল জ্যাকসকে ভরসা করতে হয়েছে, যিনি ২০ ওভার বোলিং করে খাওয়াজা ও গ্রিনের উইকেট নেন।

তবুও প্রথম দিনেই অস্ট্রেলিয়াকে অল আউট করতে না পারার আক্ষেপ থাকবে ইংল্যান্ডের। তিন সেশনে ধারাবাহিকভাবে রান তুলেছে স্বাগতিকরা, শেষ সেশনে ওভারপ্রতি চার রানের বেশি এসেছে। দ্বিতীয় দিনে স্টার্ক ও লায়নের উইকেট দ্রুত ফেলতে পারলেই ম্যাচে ফিরতে পারবে বেন স্টোকসের দল।

আরো পড়ুন: ইংল্যান্ড