এদিকে অ্যাডিলেড টেস্টের জন্য উসমান খাওয়াজা ফিট থাকবেন বলে আশাবাদী অস্ট্রেলিয়ার ম্যানেজমেন্ট। আগামী ১৭ ডিসেম্বর শুরু হতে যাওয়া ম্যাচটির আগে ১৫ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করবে অস্ট্রেলিয়া, যেখানে কামিন্সই একমাত্র সংযোজন বলে ধারণা পাওয়া গেছে।
কামিন্সের ফেরার ব্যাপারে ম্যাকডোনাল্ড আত্মবিশ্বাসী, ‘কামিন্স পুরোপুরি প্রস্তুত। অপ্রত্যাশিত কিছু না ঘটলে আগামী সপ্তাহে তাকেই টস করাতে দেখা যাবে।’
অন্যদিকে হ্যাজেলউডের অ্যাশেজ থেকে ছিটকে পড়া নিশ্চিত করেছেন তিনি। হ্যামস্ট্রিংয়ের পর এবার অ্যাকিলিসে নতুন চোটে পড়ায় সিরিজে আর ফেরা হচ্ছে না পেসারের।
কামিন্স গত জুলাই থেকে হাড়ের চোটে খেলছেন না, তবু কোচের মতে তাঁর প্রস্তুতি নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। ব্রিসবেন টেস্টেই তাকে দলে নেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ম্যাকডোনাল্ড।
নাথান লায়নকে নিয়ে আসন্ন ম্যাচগুলোতে পরিকল্পনা বরাবরের মতোই স্পষ্ট জানিয়েছেন ম্যাকডোনাল্ড। ব্রিসবেন টেস্টে গোলাপি বলের ম্যাচ হওয়ায় তাকে রাখা না হলেও অ্যাশেজের শেষ তিন পরীক্ষায় অ্যাডিলেড, মেলবোর্ন এবং সিডনিতে লায়নের স্পিন বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন তিনি।
এদিকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার সময় চোটে পড়েছিলেন উড। বাঁ হাটুর ক্ষতিগ্রস্থ লিগামেন্ট সারিয়ে তুলতে মার্চে অস্ত্রোপচার করেন ইংলিশ এই পেসার। মাস চারেক পর ফেরার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সেটা হয়ে উঠেনি।
অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফিতে লর্ডসে তৃতীয় টেস্টের আগে তার হাঁটুতে জমে ওঠা তরল সরিয়ে নিতে হলে ফেরার সময়টা আরও পিছিয়ে যায়। অ্যাশেজের দিকে তাকিয়ে কাউন্টি ক্রিকেট দিয়ে মাঠে ফেরেন উড। খেলেছেন অ্যাশেজে প্রথম টেস্টেও। তবে ব্যথা বেড়ে যাওয়ায় দ্বিতীয় টেস্টে খেলেননি তিনি।
এবার জানা গেল অ্যাশেজের বাকি তিন টেস্টেও খেলবেন না উড। নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে তার পোস্ট, ‘অ্যাশেজের বাকি অংশ থেকে ছিটকে পড়ায় খুবই মর্মাহত হয়েছি। অস্ত্রোপচার, সাত মাসের কঠোর পরিশ্রম এবং পুনর্বাসনের পরেও আমার হাঁটু টিকল না। আমরা কেউই এটা আশা করিনি। অনেক প্রত্যাশা নিয়ে এখানে (অস্ট্রেলিয়া) এসেছিলাম। ইঞ্জেকশন ও চিকিৎসার পরও এটা পরিষ্কার যে যতটা শঙ্কা, আমার হাঁটুর সমস্যা তার চেয়েও জটিল। আমি খুবই হতাশ।’
পার্থ ও ব্রিসবেনে টানা দুই ম্যাচ জিতে পাঁচ ম্যাচের অ্যাশেজ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে অস্ট্রেলিয়া।